আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ভাগ্যের পরিহাস বললেও কম বলা হবে। ২০১৬ সালের দু’আগস্ট বাসন্তী থানা এলাকার বাসিন্দা সামিনানের সঙ্গে মহম্মদ বিলাল মোল্লার বিয়ে হয়। বিলাল নিজেকে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর আধার কার্ডেও সেটির উল্লেখ ছিল। এরপর সামিনানকে নিয়ে তিনি মুম্বই পাড়ি দেন। সেখানে থাকাকালীন বিলালের আসল পরিচয় জানেন সামিনান। জানতে পারেন, বিলাল আদৌ ভারতের নাগরিক নন। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। সে দেশের মাদারিপুরে তাঁর বাড়ি। সামিনান যখন এই তথ্য জানতে পারেন তখন তিনি গর্ভবতী। তখনই একদিন জানলেন, বাংলাদেশে বিলালের আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। অভিযোগ, এসব জানাজানি হওয়ার পর সামিনানের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করেন বিলাল। একদিন তাঁকে বাসন্তীতে বাপের বাড়ি রেখে মুম্বই চলে যান। বেশ কিছু দিন পর বাপের বাড়িতেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সামিনান। সে খবর পৌঁছয় বিলালের কাছে। এরপর ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায়শই বাসন্তীতে যাতায়াত করতে শুরু করেন।
২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে এসে ছেলেকে পাশের বাজারে নিয়ে যাবেন বলে নিয়ে বেরন। তারপর চম্পট দেন। এরপর থেকে আর ছেলেকে দেখতে পাননি সামিনান। পরে জানতে পারেন সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিলাল শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তারও হয়। বর্তমানে তিনি দমদম জেলে সাজা কাটাচ্ছেন।
সিআইডি হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, বর্তমানে শিশুটি বাংলাদেশে বিলালের প্রথম স্ত্রীর কাছে রয়েছে। এই রিপোর্ট জমা পড়ার পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রককে শিশুটিকে ফেরত আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, সে দেশে ইতিমধ্যেই শিশুটির নকল বার্থ সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলেছেন বিলালের প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম। শিশুটিকে নিজের গর্ভস্থ সন্তান বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এই অবস্থায় সমস্ত তথ্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে শীঘ্রই শিশুটিকে এদেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৪ জুন মামলার শুনানির তারিখ ধার্য থাকলেও সেদিন শুনানি হয়নি। শীঘ্রই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা। ততদিন সামিনানের কাছে অপেক্ষা করে থাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই।