আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের (বালু) কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট একাধিক কোম্পানির মালিক। তারই মধ্যে একটি কোম্পানি সিনেমা তৈরি করেছিল ২০১৩ সালে। তাঁর আয়-ব্যয় ও আয়কর রিটার্নের নথি পরীক্ষা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেন, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। ওই কোম্পানি প্রয়োজিত সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা। নথিতে বলা হয়েছে, অভিনেত্রী পারিশ্রমিক হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা নেন। কিছুদিন পর ঋতুপর্ণা তার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে আবার ট্রান্সফারও করে দেন।
এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহের সূত্রপাত। ইডি আধিকারিকদের মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে? এই রহস্য উদ্ঘাটন করতেই ৫ জুন অভিনেত্রীকে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হয়। কিন্তু তখন তিনি বিদেশে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সেইসময় ঋতুপর্ণা হাজিরা দিতে পারেননি। তারপর আরও একটি নোটিস পাঠিয়ে ১৯ জুন ইডি দপ্তরে তাঁকে ডাকা হয়। সেইমতো বুধবার বেলা ১টা নাগাদ অভিনেত্রী সেখানে পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। ঋতুপর্ণা পৌঁছনোর আগেই তাঁর হিসাবরক্ষক তাঁর আয়-ব্যয়ের নথি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। অভিনেত্রীর কাছে ইডি অফিসাররা জানতে চান, ২০ লক্ষ টাকা তিনি ফেরত দিলেন কেন? সূত্রের খবর, এই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা ইডিকে জানান, প্রযোজকের কিছু আর্থিক সমস্যা চলছিল। তাই কিছু টাকা ফেরানোর জন্য তাঁকে অনুরোধ করা হয়। অভিনেত্রী সেইমতোই ওই টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। যদিও ঋতুপর্ণার এই ‘সহজ ব্যাখ্যা’ ইডি অফিসারদের ভাবাচ্ছে। জেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি জমা দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রীর উত্তরে ইডি সন্তুষ্ট।