আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আসন্ন ১০ জুলাই উপ নির্বাচন নিয়ে পুরোদস্তুর একজোট হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। সোমবার উপ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বিজেপির অভ্যন্তরে কোন্দল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই দেখা যাচ্ছে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ঘোর বিপাকে বনগাঁ বিজেপি! দলের উচ্চ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্দল প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। বাগদা থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন সত্যজিৎ মজুমদার। আরএসএসের এই পুরনো সংগঠক ‘বিক্ষুব্ধ বিজেপি’ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন। সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, কর্মীদের একাংশ বহিরাগত প্রার্থী মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা আমাকে প্রার্থী করেছেন। আসল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আমার সঙ্গেই আছেন।
বাগদা উপ নির্বাচনে বিজেপির তরফে আনিুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস। তাঁকে নিয়ে বিজেপি দলের অভ্যন্তরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নিতে নারাজ বাগদার বিজেপি কর্মীদের একাংশ। উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মেনে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন বাগদা-২ মন্ডলের বিজেপি সভাপতি সমীর বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে দলকে ভালবেসে সংগঠন করি।
কিন্তু দলের উচ্চ নেতৃত্ব আমাদের কথার গুরুত্ব না দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করেছে। সেকারণে দলের দেওয়া পদ প্রত্যাহার করেছি।
দীর্ঘদিন ধরে আরএসএস’এর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সত্যজিৎ মজুমদার প্রার্থী হতেই উজ্জীবিত দলীয় কর্মীরা। যদিও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, যে কেউ ভোটে লড়তে পারেন। এটা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে বিজেপি কর্মীদের তরফে নির্দল প্রার্থী ঘোষণা হতেই গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। যে বেশি দিয়েছে, তাঁকে প্রার্থী করেছে, বাকিরা ক্ষুব্ধ। আগামীদিন বিজেপির কোন্দল আরও বাড়বে। বিদ্রোহের আঁচ আরও বাড়ছে রায়গঞ্জের গেরুয়া শিবিরে। ‘দলবদলু’কে প্রার্থী করায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে পদ্মপার্টির একটা বড় অংশ। এই পর্বেই প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের মাঝেই বিজেপির জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাসুদেব সরকার। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল জেলাজুড়ে।