গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পুরুলিয়ার সভা থেকে মোদির মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও। তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ২০২২-২৩ থেকে ২০২৪-২৫—এই তিনটি অর্থবর্ষে বাংলার জন্য অর্থবরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। অথচ এই তিন অর্থবর্ষেই অসমের মতো ছোট রাজ্যের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ১২ হাজার ৭৬ কোটি টাকা, আর গুজরাতের জন্য ১ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। দেশের ২৭টি রাজ্যের জন্য এই প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দিলেও, বাংলাকে দেয়নি।
তৃণমূলের বক্তব্য, ভোটের হালচাল দেখে বিপদ বুঝেই বেসামাল হয়ে পড়েছে বিজেপি। তাই এমন মিথ্যাচার চলছে। এমনকী চতুর্থ দফার ভোটের আগে থেকেই প্রচারের সুরও বদলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বারবার বলছেন, বৈষম্য করেন না। অথচ, ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণের অঙ্ক তাঁর ভাষণে শোনা যাচ্ছে। বাংলাকে বঞ্চনার বিষয়টি নির্দ্বিধায় ‘ভুলে’ গিয়ে দাবি করছেন, তিনি টাকা দিয়েছিলেন। তৃণমূল সরকার মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। অথচ, সরকারি তথ্য সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। তাই প্রকারান্তরে তাঁকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেই দেগে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর আক্রমণ, ‘১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনা... সব আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় চাষযোগ্য জমি কম। ১০০ দিনের কাজের উপর মানুষ নির্ভরশীল। সেই টাকা বিজেপি বন্ধ করে রেখেছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে দেখেছি, দুই আদিবাসী ভাই তাঁদের মাকে নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে। রাত তখন ১০টা। তাঁদের প্রশ্ন করলাম, আপনারা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কেন? তাঁরা বলেছিলেন, ১০০ দিনের টাকা পাইনি। ব্যবস্থা করে দিন। এই দুর্দশা প্রত্যেকের। তাই, আপনাদের অনুরোধ, খাল কেটে কুমির আনবেন না। বিজেপিকে একটাও ভোট নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা ফিরিয়েছেন। ঘরও বানিয়ে দেবেন।’
মোদি সরকারকে অভিষেকের তোপ, ‘ওরা সংবিধান বদলাতে চাইছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে নেমেছে। এর ফলে আদিবাসী জনজাতির মানুষও আতান্তরে পড়বেন। আমাদের সরকার আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে, আর মোদি সরকার প্যান-আধার লিঙ্ক করার নামে হাজার টাকা কেটে নিচ্ছে। আপনারাই বিচার করুন, কাকে ভোট দেবেন।’