গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ভোট প্রচারে রবিবার জঙ্গলমহলের দুই জেলায় ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে পদযাত্রা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২৫ মে’র নির্বাচন উপলক্ষ্যে এদিন প্রথমে পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে পদযাত্রা করেন মমতা। সেটি এসপি অফিস মোড় থেকে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত যায়। পরবর্তী পদযাত্রাটি হয় বাঁকুড়া আসনের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে। সেটি যায় খ্রিস্টান কলেজ মোড় থেকে হিন্দু হাইস্কুল পর্যন্ত।
মমতার পদযাত্রা শুরু হয় বিকাল ৪টে থেকে। মমতার সঙ্গেই হাঁটলেন ১২ জন ‘লক্ষ্মী’। আটপৌরে শাড়ি, মাথায় মুকুট, কোমরে মাটির ঘট নিয়ে তাঁরা বার্তা দিলেন ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ সমৃদ্ধির। মমতার পাশেই ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এবং রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী। দলের অন্য নেতারা ছিলেন আর একটু পিছনের সারিতে। জোড়াফুলের পতাকা, তেরঙা বেলুন, পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানার নিয়ে মমতার সঙ্গে পা মেলান কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল চোখে পড়ার মতোই। স্কুলডাঙা মোড়, মাচানতলা মোড়, বড় বাজার, ইন্দারাগোড়া, লালবাজার মোড় হয়ে হিন্দু হাইস্কুলের সামনে পৌঁছয় পদযাত্রা। এই যাত্রাপথের দু’ধারে কাতারে কাতারে মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন মমতাকে দেখতে এবং স্বাগত জানাতে। জননেত্রীও তাঁদের নিরাশ করেননি। অনেকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিনি। কেউ ফুল উপহার দিলে তাও সাদরে গ্রহণ করেছেন। যাত্রাপথে পড়া মন্দির, মসজিদ, গির্জাসহ ধর্মীয় স্থানগুলিতেও তাঁর প্রণাম নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুষ্পস্তবকের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেছেন মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে। এমনকী, যাত্রাপথেই মানুষের সঙ্গে কয়েক মিনিটের কথায় তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার গল্প শুনেছেন মমতা।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে মমতাকে দেখার জন্য দুপুর থেকেই অজস্র নরনারী সমবেত হন। এই ছবিও দেখা গিয়েছে যে, দোতলার ব্যালকনি থেকে মমতার পদযাত্রা মোবাইল ক্যামেরায় তুলেছেন প্রৌঢ় ব্যক্তিরা। আবার পড়ন্ত বিকেলে বাড়ির ছাদ থেকে সপরিবারে মমতাকে নমস্কারসহ বাঁকুড়া শহরে স্বাগত জানান বাসিন্দারা। পৌনে তিন কিলোমিটারের পদযাত্রায় দু’ধারে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষের সঙ্গে করমর্দনসহ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সকলের প্রিয় ‘দিদি’। আবার একটি শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সব মিলিয়ে বলা চলে, বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে মমতার পদযাত্রা কোথাও যেন নস্টালজিক হয়ে রইল। আর রাজনীতির পরিভাষায় বললে, বাঁকুড়া শহরে ‘সুবাস’ ছড়াল তৃণমূল কংগ্রেস।
উনিশের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির সুভাষ সরকার। এবারও তাঁকে প্রার্থী করেছে মোদির পার্টি। তবে, মমতার পদযাত্রায় বাঁকুড়ার তৃণমূল কর্মীরা উজ্জীবিত। নতুন সুবাস বা সুগন্ধের সন্ধান পাচ্ছেন তাঁরা।