গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
নাম না-করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এবং সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করেন অমিত মিত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, উনি এখানে এসে বলে গিয়েছেন, রাজ্য থেকে নাকি শিল্পপতিরা চলে যাচ্ছেন! কিন্তু বাস্তব চিত্রটি একেবারে আলাদা বলেই দাবি তাঁর। অমিত মিত্র বলেন, গত কয়েকবছরে ৩৫ হাজার সম্পদশালী ব্যক্তি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এঁরা অন্তত ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ভারতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এখন শেয়ার বাজারে লগ্নি করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভোটের আগে শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণেই তাঁর এই পরামর্শ। অমিত মিত্র বলেন, শুনেছি শেয়ার কেনাবেচায় যুক্ত থাকার পারিবারিক ইতিহাস আছে অমিত শাহের। নির্বাচনের পর তাঁর আর কিছু করার থাকবে না নিশ্চয়। অমিত মিত্রের প্রশ্ন, তাই কি এখন থেকেই শেয়ার কেনাবেচার কথা বলছেন তিনি?
অমিত মিত্র সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর গ্যরান্টির মধ্যে নারীশক্তির প্রসঙ্গও রেখেছেন। কিন্তু বাস্তবে মোদি জমানাতেই মহিলাদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি সেকেন্ডে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা ৫১! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে আর্থিক ভরসা জুগিয়েছেন। সেখানে বিজেপি এই প্রকল্প নিয়ে মহিলাদের হেয় করছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে যুবক-যুবতীদের ৮০ শতাংশের বেশি বেকার। শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মধ্যে কর্মহীনতার হার ৬৬ শতাংশ। মোদির গ্যারান্টিতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দক্ষ কর্মী তৈরির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র ৪ শতাংশ তরুণ-তরুণী দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। দেশে পারিবারিক সঞ্চয় ৫০ বছরে এত কমেনি বলেও দাবি করেন অমিত মিত্র। গত ১০ বছরে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বেড়ে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে, এই আমলে ব্যাঙ্কঋণ মাফ করা হয়েছে ১৬ লক্ষ কোটি টাকার! অমিত মিত্রের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৬০ কোটি টাকার। ঋণ মকুব করা হয়েছে মূলত বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে হারার পর থেকে কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।