কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উল্লিখিত চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, মোট ২৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৭৭ টাকার সহায়ক অনুদানকে দু’ভাগে খরচ করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের সংস্থাকে। প্রথম ভাগে থাকছে মোট ২৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭৬ টাকা। এটি মূলত শিশু এবং মহিলা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য জেনারেল কম্পোনেন্ট ক্যাটিগরিতে ব্যবহার করতে হবে। আর দ্বিতীয় ভাগে থাকছে মোট ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৭০১ টাকা। এই পরিমাণ সহায়ক অনুদান তফসিলি জাতি সাব প্ল্যানের আওতায় ফেলা হয়েছে। ভারত সরকারের আন্ডার সেক্রেটারির পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যেকোনওরকম ইনস্পেকশন এবং অডিটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে হবে সংস্থাকে। তারা যেমন ক্যাগের আওতায় থাকবে, তেমনই মন্ত্রক অথবা দপ্তরের প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টস অফিসের ইন্টারনাল অডিটের অধীনেও থাকবে। যখনই এ ব্যাপারে ওই সংস্থার সহযোগিতা চাওয়া হবে, তখনই তারা তা করবে। শিশু শ্রমিকদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, শিশু শ্রমিক নির্মূলকরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থাকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়ার কারণে এভাবে সহায়ক অনুদান দেওয়া হলে এহেন কর্মসূচির গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রজেক্ট (এনসিএলপি) স্কিমটি ঠিক কী? কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানত দেশের শিশু শ্রমিকদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। যার আওতায় শিশু শ্রমিকদের কাজ থেকে সরিয়ে শিক্ষা এবং বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এই স্কিমের আওতায় মূলত লক্ষ্য রাখা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সের কাউকে কোনও কাজে নিয়োগ করা হয়েছে কি না। পাশাপাশি ১৪ বছরের বেশি, কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সের কাউকে বিপজ্জনক কোনও কাজে নিয়োগ করা হয়েছে কি না, লক্ষ্য রাখা হয় তাও। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ‘টার্গেট এরিয়া’ চিহ্নিত করে নজরদারি চালায় কেন্দ্রীয় সরকার।