কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
নিগমের একটি বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, গত বছর ‘এক টিকিটে সারাদিন’ ঘোরানোর পরিকল্পনা দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবারও এই সুযোগ দর্শনার্থীদের দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নিগমের এক কর্তার কথায়, গত বছর চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত নিগমের শহর-শহরতলির বাস ও ভেসেলের জন্য এক টিকিটে সারাদিন ঘোরার সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা। টিকিট কেটে সারাদিনে পূর্বে হাওড়া স্টেশন থেকে পশ্চিমে নিউ টাউন, উত্তরে বারাসত-বারাকপুর থেকে দক্ষিণে ঠাকুরপুকুর-বারুইপুর পর্যন্ত বাসে ঘুরে ঠাকুর দেখেছিলেন দর্শনার্থীরা। ভেসেলের ক্ষেত্রে সীমারেখা টানা হয়েছিল উত্তরে আড়িয়াদহ থেকে দক্ষিণে মিলেনিয়াম পার্কের জেটি পর্যন্ত। এবারও টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে।
নিগম সূত্রের খবর, এবার গ্রামের পুজো ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যাপারে একাধিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার মধ্যে একটি প্যাকেজে উত্তর ২৪ পরগনার ধান্যকুড়িয়া-আরবেলিয়ায় পুজো পরিক্রমার আয়োজন করার কথা হচ্ছে। সপ্তমী, আষ্টমী এবং নবমীতে দু’টি করে বাস কলকাতা থেকে চালানো হবে। হুগলি জেলার বিখ্যাত পুজোগুলিকে ঘুরিয়ে দেখাতে আরও একটি প্যাকেজের পরিকল্পনা হচ্ছে। এই প্যাকেজেও পুজোর তিনদিন দু’টি করে বাস চালানোর কথা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্যাকেজের মূল্য রাখা হয়েছে ১,৫০০ টাকা।
নিগমের এক কর্তা বলেন, জ্বালানি সহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন প্যাকেজের মূল্য কিছুটা করে বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। যেমন, সাবেকি পুজো পরিক্রমার প্যাকেজ মূল্য গত বছরে ছিল ১,৫০০ টাকা। তা এবার ১০০ টাকা বাড়ানোর কথা চলছে। ভলভো বাসে কামারপুকুর-জয়রামবাটির পুজো পরিক্রমার প্যাকেজও ১০০ টাকা করে বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। বিসর্জন দেখানোর ক্ষেত্রেও প্যাকেজ মূল্য ১০০ টাকা বৃদ্ধির পরিকল্পনা চলছে। তবে, প্যাকেজ মূল্য নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি। এসব প্যাকেজ ছাড়াও, জলপথে উত্তরের পুজো পরিক্রমা, এসি ট্রামে পুজো পরিক্রমা, নন-এসি এবং এসি বাসে সর্বজনীন পুজো পরিক্রমার আয়োজনও হচ্ছে বলে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিগমের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, গত বছর বহু প্যাকেজই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শনার্থীদের মধ্যে। এবারও দর্শনার্থীদের চাহিদা বিবেচনা করে দরকার মতো প্যাকেজে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্যাকেজ ছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য পুজোর সময়ে বিভিন্ন রুটে বেশি রাত পর্যন্ত বাস চালানোর চেষ্টা হবে।