পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
প্রতি বছর বর্ষার সময় নিউটাউনে সাপের উপদ্রব বাড়ে। গত বছর তা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেবার জুলাই মাসে সাপের কামড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের ২ জুলাই সন্ধ্যার সময় নিউটাউনের ডাউনটাউন মলের কাছে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ২৩ বছরের এক যুবক হাঁটছিলেন। সেই সময় তাঁকে সাপে কামড়ায়। তিনি কলকাতায় প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। পরে আর জি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৬ জুলাই। নিউটাউনের সাপুরজি সংলগ্ন আনন্দকেশরী এলাকায় বিকেলে এক যুবককে সাপে কামড়ায়। ওইদিনই আর জি কর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া-১ এলাকার ডিজে ব্লকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে সাপে কামড়ানো রোগীদের জন্য পৃথক বেড সংরক্ষণ চেয়ে গত বছর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এনকেডিএ’র বাসিন্দাদের জন্য সেখানেই চালু করা হয়েছে, ‘স্নেক বাইট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’। সেখানে পাঁচটি বেড রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা মিলবে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি ভেনম সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইঞ্জেকশন থাকবে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর থেকে চিকিৎসক ও কর্মীদের স্পেশাল ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি কিংবা জরুরি প্রয়োজনে সেখান থেকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল অথবা আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়াও সাপে কামড়ানোর রোগীদের জন্য এনকেডিএ’র অধীনে থাকা আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার (ইউপিএইচসি) এবং আরবান হেল্থ ওয়েলনেস সেন্টারগুলিকেও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা রাখা হয়েছে। সাপের উপদ্রব রুখতে জঙ্গল পরিষ্কার, কার্বোলিক অ্যাসিড ছড়ানো, বনদপ্তরকে নিয়ে সাপ ধরার জন্য বিশেষ টিমও তৈরি করা হয়েছে। এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষ টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই অভিযান চলবে।