আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, হাওড়া এবং বালি পুরসভায় প্রায় ছ’বছর পুরভোট হয়নি। কোনও ওয়ার্ডেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। দুই পুরসভার তরফে দাবি করা হয়, কাউন্সিলার না থাকার কারণেই পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। মমতা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বাকি পুরসভাগুলিতে পরিষেবা খারাপ হওয়ার কারণ কী? কেন জল-জঞ্জালের সমস্যা মেটাতে এডিএম, ডিএমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন না? মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হলে কার লাভ?’ বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। পুরমন্ত্রীর সামনেই আধিকারিকদের সরাসরি এনিয়ে প্রশ্ন করেন মমতা। আসন্ন বর্ষায় পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে সোমবার পুর-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সরকারি দপ্তরগুলির বিপুল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ফেলে রাখা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদ্যুতের বিল বাকি রাখলে নবান্ন কড়া পদক্ষেপ করবে। বিদ্যুতের অপচয় রুখতে প্রতি দপ্তরে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যে অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকবে, আর্থিক বছরের শুরুতে সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে ওই দপ্তরের বাজেট থেকে। তাঁর নির্দেশ, দপ্তরগুলিতে ২৫ ডিগ্রির কম তাপমাত্রায় এসি চালানো যাবে না। ছুটির পর অফিসের লাইট-পাখা চালিয়ে চলে যাওয়া নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা কি আমাদের বাড়িতেও লাইট-পাখা চালিয়ে রেখে চলে যাই? তাহলে অফিসে করি কেন?’ বিদ্যুতের অপচয় ঠেকাতে শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রিট লাইট জ্বলতে দেখা যায় কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। পানীয় জলের অপচয় নিয়ে পুরকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে কোনও রাখঢাক না রেখেই তিনি জানিয়ে দেন, ‘শুধুমাত্র কাটমানি খাওয়ার জন্য রাস্তা তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়। পাঁচ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তো নির্মাণকারী সংস্থার! তাহলে এত তাড়াতাড়ি রাস্তা খারাপ হয় কীভাবে?’ হলংয়ের বনবাংলোয় আগুন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, বন্ধ বাংলোয় কীভাবে এসি চলতে পারে?