আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
আমচাষি ফণিভূষণ সাহা বলেন, বর্তমানে গোপালভোগ, গুটি ও লক্ষণভোগ আম গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে। আরও এক সপ্তাহ গাছে আম থাকলে ভালো হতো। কিন্তু বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম নিয়ে যাচ্ছেন। দাম পাওয়ার ফলে আমরাও বিক্রি করে দিচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যে ল্যাংড়াও বাজারজাত করা হবে। তিনি আরও বলেন, গতবারের থেকে এবার জেলায় আমের ফলন অনেক কম হয়েছে। গতবার যেসব গাছে ১০০ শতাংশ ডালে আম ধরেছিল, এবার তা কমে ৪০-৫০ শতাংশে এসে ঠেকেছে। আমরা বাগান লিজে নিয়ে আম চাষ করি। ফলে আগাম আম না বিক্রি করলে তেমন দাম পাওয়ার আশা কম। দাম না পেলে লোকসানের মুখ দেখতে হবে। ফণিভূষণবাবু আরও বলেন, পাইকারি বাজারে গোপালভোগ ৩৫ টাকা, লক্ষণভোগ ২০ টাকা, গুটি ১৫ টাকা এবং ল্যাংড়া ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আম ব্যবসায়ী সাহেব আলির কথায়, আমরা সরাসরি বাগান থেকে পিক আপ ভ্যানে বোঝাই করে আম ভিনরাজ্যে পাঠিয়ে দিই। কখনও আবার বাগান থেকে আম পাড়ার পর প্লাস্টিকের ক্যারেটে ভরে আড়তে মজুত করা হয়। পরে তা বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হয়। লিচুর মতো আম গাছে না পাকালেও চলে। শাঁস কিছুটা শক্ত থাকতে পেড়ে নিলে অনেকদিন পর্যন্ত আম ভালো থাকে। দামও ভালো পাওয়া যায়।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের উপ-অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, এবার মালদহে আমের জিরেন বছর। গতবার জেলায় পৌনে চার লক্ষ মেট্রিক টন আম ফলেছিল। এবার তা দু’লক্ষ মেট্রিক টনের আশপাশে থাকবে। ফলে ফলন অর্ধেকে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। আম কিছুটা কাঁচা অবস্থায় গাছ থেকে পেড়ে রপ্তানি করতে হয়। তবে তা অবশ্যই পরিণত হতে হবে। অপরিণত আম পাড়লে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে গাছ থেকে পাড়ার আগে আঁটি শক্ত হয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। গোপালভোগ, লক্ষণভোগের মত কিছু প্রজাতির আম পরিণত হয়ে গিয়েছে। এবার আমের দাম বেশি হতে পারে। পাইকারি বাজারে ৪০ টাকা কেজি হলে তা খুচরো বাজারে কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হবে। চাষিরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।