আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। কিন্তু শুরুটা একদম ভালো হয়নি। দুই তারকা ওপেনার রোহিত ও বিরাট ফের হতাশ করলেন। তৃতীয় ওভারেই ফিরলেন হিটম্যান। ১৩ বলে সংগ্রহ ৮। আর সেট হয়েও বিরাট কোহলির ২৪ রানে আউট হওয়া ভারতীয় সমর্থকদের কাছে আরও বড় ধাক্কা। হতাশ করেন ঋষভ পন্থও। একটা সময় টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ছিল ৬২-৩। সেখান থেকে দলকে টানেন সূর্য। ২৭ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুম্বইকর। সেই সঙ্গে ভারতের রান পৌঁছায় দেড়শোর ঘরে। শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে আউট হন সূর্য।
গ্রুপ পর্বে তিনটি ইনিংসে দুই অঙ্কের গণ্ডি টপকাতে পারেননি ভিকে। সমালোচনা তীব্র হচ্ছিল। আশা ছিল, সুপার এইটের লড়াইয়ে বিরাটকে পাওয়া যাবে চেনা মেজাজে। নবীন উল হককে ছক্কা মারার পর অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে শুরু করেন, দিনটা বিরাটের। ঠিক তার পরেই ইন্দ্রপতন। নবম ওভারে রশিদ খানকে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ দেন কোহলি (২৪)। তার আগে ফেরেন ঋষভ পন্থ (২০)। এক্ষেত্রেও আফগানিস্তানের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা সেই রশিদ। তাঁর গুগলি সামলাতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। আফগান স্পিনারকে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে লেগ বিফোর হন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পন্থ। চাপের মুখে উইকেট বাঁচিয়ে রান রেট সচল রাখাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মন্থর পিচে বল টার্ন করছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান রশিদ খান। তাঁর তৃতীয় শিকার শিবম দুবে (১০)। রীতিমতো বোকা বানিয়ে বাঁ হাতি ব্যাটারকে লেগ বিফোর করেন রশিদ। টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দুবে এমন কিছু করেননি যা মনে রাখার মতো। প্রশ্ন উঠছে, কোন যুক্তিতে এমন একজন নিম্নমানের ব্যাটারকে দলে রাখতে গিয়ে পরীক্ষিত রিঙ্কু সিংকে বাদ দিলেন ভারতীয় নির্বাচকরা! তবে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া প্রত্যাশার চেয়ে ভালো পারফর্ম করে চলেছেন। এদিন তাঁর সংগ্রহ ২৪ বলে ৩২।
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের ডাক-হর্স আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রশিদরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরাও খেতাব জয়ের দৌড়ে প্রবলভাবেই আছেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সুপার এইটের লড়াইয়ে চাপ নিতে পারল না আফগানিস্তান। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি বাইশ গজে। ২৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিছুটা লড়াই করেছিলেন ওমরজাই। তাঁর ২৬ রানই দলের পক্ষে সর্বাধিক। বাকিরা শুধু এলেন আর গেলেন। শুরুতেই প্রতিপক্ষ শিবিরে আঘাত হেনেছিলেন বুমরাহ। সেই কাঁপুনি আর থামেনি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান রশিদরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বুমরাহ ও অর্শদীপ সিং নেন তিনটি করে উইকেট। দু’টি উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব।