গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ম্যাচের শুরুতেই হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে দারুণ তৃপ্ত স্টার্ক। বলছিলেন, ‘ওদের দুই ওপেনারই চলতি আসরে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। তাই পাওয়ার প্লে-তে হেডকে ফেরানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অভিষেকও বড় রান পায়নি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে হায়দরাবাদকে চাপে ফেলা। সেই লক্ষ্যে আমরা সফল। কেরিয়ারে অনেক বড় ম্যাচ খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’ এদিন স্টার্কের প্রথম শিকার দুরন্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড। খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন হায়দরাবাদের ওপেনার। এছাড়া তিনি আউট করেছেন ছন্দে থাকা নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকে। হেডের উইকেট প্রসঙ্গে স্টার্কের জবাব, ‘সম্ভবত ওর সঙ্গে একই বিমানে দেশে ফিরব। তখন এই আউটের রেশ ধরে ওর লেগ পুল করব।’
স্টার্কের পাশাপাশি এদিন কেকেআরের পুরো বোলিং ইউনিটেরই প্রশংসা প্রাপ্য। মোতেরার উইকেটে পেসারদের জন্য বাড়তি সুবিধা ছিলই। সেখানে স্পিনের ভেল্কি দেখালেন বরুণ চক্রবর্তীও। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হেনরিখ ক্লাসেনকে ফিরিয়ে কেকেআর শিবিরে স্বস্তি আনেন তিনি। এছাড়া সুনীল নারিন, বৈভব আরোরা, হর্ষিত রানা, আন্দ্রে রাসেলও একটি করে উইকেট নিয়েছেন। মোতেরায় নাইট বোলারদের দাপট দেখে উচ্ছ্বসিত শাহরুখ খান। প্রতিপক্ষের প্রতিটি উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলিব্রেশনে মেতেছেন বলিউডের বাদশাহ। পিছিয়ে ছিল না তাঁর ছেলে আব্রামও। কেকেআরের পতাকা হাতে তাকেও আনন্দে ভাসতে দেখা যায়। ভিআইপি বক্সে কিং খান ছাড়াও হাজির ছিলেন জুহি চাওলা ও তাঁর মেয়ে। উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে কেকেআরের বেশিরভাগ ম্যাচেই মাঠে দেখা যাচ্ছে শাহরুখকে। সোমবার ভোট দিয়েই আমেদাবাদে পৌঁছে যান তিনি। ম্যাচের আগে ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের সঙ্গে দেখা করে উত্সাহও জোগান কিং খান। আসলে ২০১৪ সালের পর তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি আরও একবার খেতাবের স্বপ্নে বুঁদ। ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত বেঙ্কটেশের মন্তব্য, ‘কিং খানের উপস্থিতিতে গোটা দল চনমনে। ভোকাল টনিকে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেন শাহরুখ। সবমিলিয়ে অসাধারণ অনুভূতি। ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, ট্রফি জিততে আমরা মরিয়া।’ গুরবাজ জানান, ‘দল দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। আরও একবার ট্রফি জিততে চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না। কঠিন পরিশ্রমই সাফল্য এনে দিয়েছে।’