বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
( জাস্টিস মরগ্যান)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মোহন বাগানের মতোই ইস্ট বেঙ্গলও প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে হেরে গেল। পার্থক্য একটাই। মোহন বাগান ০-৩ গোলে হেরেছিল পিয়ারলেসের কাছে। ইস্ট বেঙ্গল সংযোজিত সময়ে হারল ন্যূনতম ব্যবধানে। গোড়ালিতে চোট থাকলেও ইস্ট বেঙ্গলের বিদেশি স্টপার ক্রেসপি যাতে প্রতিপক্ষ বক্সে উঠে আসতে না পারেন, সেই জন্যই ৮১ মিনিট পর্যন্ত জোয়েল সানডেকে রেখে দিয়েছিলেন জর্জ টেলিগ্রাফ কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁকে তুলে নিতেই ইস্ট বেঙ্গল রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়রা আপফ্রন্টের খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে উপরে উঠে যান। কার্যত ৩-৫-২ ছকে চলে যায় লাল হলুদ। গোল মুখ জ্যাম করতে জর্জ টেলিগ্রাফের সাত- আট জন ফুটবলার তখন নিজেদের পেনাল্টি বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে। ৯৩ মিনিটে রাজীব সাউয়ের দেওয়া বল ধরে জর্জ টেলিগ্রাফের বিদেশি জাস্টিস মরগ্যান লাল হলুদের দুই ডিফেন্ডার ক্রেসপি ও মনোজ মহম্মদের মাঝখান দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে জয়সূচক গোলটি করলেন (১-০)। ইস্ট বেঙ্গল গোল খাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ শেষ। কোচ আলেজান্দ্রো আর কোয়েস কর্তাদের উদ্দেশ্যে উড়ে এল কিছু চোখা চোখা শব্দ। আইএফএ’র দেওয়া নির্দিষ্ট দিনের (৬ জুলাই) মধ্যে বোরহা-কোলাডো-আইদারাকে সই না করানোয় কোয়েসের কলকাতার কর্তাদের খুঁজছিলেন সমর্থকরা। আসলে অর্থ বাঁচাতে বিদেশিদের পরে আনতে গিয়ে এই বিপত্তি। এতদ্বারা ইতিহাসে ঢুকে গেল ২০১৯ সালের কলকাতা লিগ। তিন প্রধানের মধ্যে মোহন- ইস্ট লিগের প্রথম ম্যাচে হেরে গেল। মহমেডানও লিগের প্রথম ম্যাচে এরিয়ানের বিরুদ্ধে ড্র করেছে। স্বাধীনতার পর এইরকম শোচনীয়ভাবে তিন প্রধান লিগ শুরু করেনি। জর্জ টেলিগ্রাফ লাল হলুদের ‘বন্ধু টিম’ হলেও এদিন বন্ধুকৃত্যের ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি।
নোট বুকে চোখ বুলিয়ে দেখা যাচ্ছে লাল হলুদের ‘আকাদেমির টিম’ গোটা ম্যাচে দুটি ওপেন করেছে। সম্মিলিত আক্রমণ করেছে মাত্র একটি। দুই প্রান্ত থেকে ক্রমাগত এরিয়াল বল তুলে খেলে গিয়েছেন ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলাররা। মাঝখান দিয়ে কোনও সৃজনশীল আক্রমণ চোখে পড়েনি। ক্রমাগত বল তুলে খেলতে থাকায় জর্জের স্টপার ইচের সুবিধা হয়ে যায়। এরিয়াল বলে ইচে চিরদিনই দারুণ। কিন্তু জমিতে বল ক্লিয়ারিংয়ে এদিন অপ্রত্যাশিতভাবে দৃঢ়তা দেখান। জর্জের সাইড ব্যাক তন্ময় ঘোষ ম্যাচের সেরা হয়েছেন। এই পুরস্কার পেতে পারতেন ইচেও।
ইস্ট বেঙ্গল প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল ৩৮ মিনিটে। অভিজিৎ মণ্ডলের সেন্টার সুবিধাজনক অবস্থায় পেয়েও বাইরে মারেন আকাদেমি থেকে আগত শুভ্রনীল ঘোষ। বোরহা- কোলাডোহীন দলে পিন্টু মাহাতো, ব্র্যান্ডনদের কেন আলেজান্দ্রো প্রথম একাদশে রাখলেন না তা বোঝা গেল না। আলেজান্দ্রোর ভারতীয় ব্রিগেডের খেলা দেখে বোঝা গেল, প্র্যাকটিসে তেমন কিছুই হয় না। মিডিয়াকে ঢুকতে না দেওয়া, কালো কাপড় টাঙানো- এই সবই হাস্যকর মনে হল ভারতীয় ব্রিগেডকে ক্রমাগত স্কোয়ার পাস আর ব্যাক পাস খেলতে দেখে। মার্তি ক্রেসপি এখনও ফিট নন। তাঁর পাশ দিয়ে তিনটি ওপেন করে জর্জ টেলিগ্রাফ। জোয়েল সানডে, রাজীব সাউ ও মরগ্যান তিনটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন। বাবলু ওঁরাও এদিন কাঁপুনি ধরিয়ে দেন ইস্ট বেঙ্গল রক্ষণে। ৫৪ মিনিটে তাঁর শট ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে।