উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক এলাকার বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত ১০অক্টোবর তমলুক থানায় ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়েক এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপির ক্ষমতাসীন অসমের বোরোল্যান্ডে বিরাট অঙ্কের কম্বলের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা করেছেন। প্রায় ৪০কোটি টাকা মূল্যের কম্বল সাপ্লাই নিয়ে দু’পক্ষের কথা হয়েছিল। কমিশন বাবদ ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন। কলকাতায় ওই ঠিকাদার সংস্থার অফিস থেকে নগদ টাকা ওই বিজেপি নেতার পাঠানো এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে বিশ্বজিৎবাবুর দাবি। তাঁর আরও দাবি, সরকারি নথি জালিয়াতি করে ওই প্রতারণার ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি জানার পর টাকা ফেরতের জন্য নবারুণ ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁরা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দা আমার পরিচিত এক বন্ধু ঠিকাদারের কাছ থেকে প্রথম ওই টেন্ডার সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর কাছ থেকে আরও জানতে পারি, বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়েক এই বিষয়ে ডিল করবেন। সেইমতো আমার ওই বন্ধুকে নিয়ে গত ২৪আগস্ট তমলুক শহরে নবারুণের সঙ্গে সাক্ষাত করি। ২৮আগস্ট নবারুণের গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল। সেখানেই টেন্ডার ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নবারুণ না গিয়ে তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায়কে পাঠিয়ে দেন। তনুশ্রী দিল্লি থেকে গুয়াহাটি পৌঁছেছিলেন। তাঁর ফ্লাইটের টিকিট, গুয়াহাটির হোটেল খরচ সবই আমরা পেমেন্ট করেছি। হোটেলের রেজিস্টারে তাঁর সই রয়েছে। সেখানে তনুশ্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পর ফোনে নবারুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। টেন্ডার নিশ্চিত বলে তিনি জানিয়ে দেন। ২৯আগস্ট নবারুণের পাঠানো এজেন্টের হাতে ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
নবারুণ গোটা বিষয়টিকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, আমাকে চাপে রাখতে এসব ষড়যন্ত্র চলছে। পার্টি করতে গিয়ে অনেক মিথ্যা মামলা হয়েছে। সেরকম এটিও একটি মিথ্যা মামলা। তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, বেশকিছু তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার নবারুণ ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার নোটিস দিয়েছেন।