উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরাঞ্চলীয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক হল কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। মোট ভোটার সংখ্যা ৮০হাজার ৪৮০। মোট ১৫জনের পরিচালক বোর্ড গঠন হবে। তার আগে ডেলিগেট নির্বাচন। ১০৮জন ডেলিগেট নির্বাচিত হয়ে ব্যাঙ্কের পরিচালক বোর্ড গঠন করবেন। মোট ১৪টি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। তারমধ্যে কাঁথিতেই রয়েছে ছ’টি নির্বাচনী কেন্দ্র। তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই এই সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ড গঠনকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নেমেছে। এর আগে গত ১১জুলাই থেকে ১৮আগস্ট পর্যন্ত ব্যাঙ্কের ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট ওই ভোট প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একদিনেই নির্বাচন ও সেইদিন ফল ঘোষণার নির্দেশ দেয়। সেইমতো ৭নভেম্বর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ পণ্ডা দলের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন। সমবায় ভোটে দলের প্রতীকে ভোট হয় না। তবুও শাসকদলের পক্ষ থেকে অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা প্রার্থী। যেমন, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া, কাঁথি শহর সভাপতি হরিসাধন দাসঅধিকারী, খেজুরি-১ ব্লক সভাপতি বিমান নায়ক, চণ্ডীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, পটাশপুর-২ ব্লক সভাপতি মৃণালকান্তি দাস সহ আরও অনেকে আছেন। কিন্তু, ওই প্যানেল নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের বিপক্ষ গোষ্ঠী। প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিষোদ্গার করেছেন।
অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনে নেমেছেন জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা, দলের জেলা সহ সভাপতি মামুদ হোসেন। কাঁথি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার রীনা দাসও লড়ছেন। কল্লোল ঘোষ, সিদ্ধেশ্বর প্রধান, শেখ হারেস সহ অনেক তৃণমূল নেতা অফিসিয়াল প্রার্থী তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ডেলিগেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাঁথি শহর তৃণমূল যুব সভাপতি সুরজিৎ নায়েক প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির ভাগ্না। সুরজিতের স্ত্রীও বিক্ষুব্ধ প্যানেলের প্রার্থী।
মন্ত্রীপুত্র সুপ্রকাশ গিরি বলেন, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এখানে সরাসরি রাজনৈতিক রং থাকে না। যদিও আমাদের জেলা সভাপতি দলীয় প্যাডে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। আগে কখনও পার্টির প্যাডে সমবায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়নি। দলীয় প্যানেলে এমন কিছু নাম আছে যাঁরা লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। এমনকী, বিজেপি বিধায়কের দাদা তৃণমূল প্যানেলের প্রার্থী। অথচ, দলের কাউন্সিলার প্রার্থী হতে পারেননি।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, সমবায় বোর্ড পরিচালনায় অভিজ্ঞতা থাকা ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে। ১৫ডিসেম্বর নির্বাচনে নিশ্চিতভাবে আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবেন। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।