উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
গত ১৩ জুলাই বেলদা থানার মান্না গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামে বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫৬ বছর বয়সি বিশ্বনাথ পন্ডার দেহ। স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কেঁদে ভাসিয়েছিল তাঁর স্ত্রী। খুনের তদন্তের জন্য পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন প্রতিবেশীরা। যদিও তাতে অনীহা প্রকাশ করেছিল বিশ্বনাথবাবু স্ত্রী। তার এই আচরণ দেখে প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের। কারও সাতে পাঁচে না থাকা বিশ্বনাথবাবুকে কেউ খুন করবে বিশ্বাস হয়নি প্রতিবেশীদের। তাঁরা সেই কথা পুলিসকে জানান। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তবে প্রতিবেশীদের সন্দেহের বিষয়টি বুঝতে পারেন মৃতের স্ত্রী। তাই প্রতিবেশীদের সন্দেহ দূর করতে নিজেই আদালতে অভিযোগ করে। ততদিনে পুলিসের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছিল। ওই রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে খুনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই মহিলার উপর নজরদারি শুরু করে পুলিস। তদন্তকারী অফিসার ওই মহিলার মোবাইল ফোনের কললিস্ট জোগাড় করেন। আর সেখানে দেখা যায় বিশ্বনাথবাবুর মৃতদেহ উদ্ধারের আগে ভোররাতে নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিল ওই মহিলা। প্রতিবারই ঘণ্টাখানেক ধরে ফোনালাপ চলেছিল। আর সেই সূত্র ধরেই পুলিস শনিবার রাতে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও তার প্রেমিক শান্তি সাহানিকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তে পুলিস জানতে পারে দীর্ঘদিন ধরে এই শান্তির সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক ছিল। দুই সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকত মৃতের স্ত্রী। আর বাড়িতে একাই থাকতেন বিশ্বনাথবাবু। দু’জনের প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু।
বেশ কয়েক বিঘা জমিও রয়েছে বিশ্বনাথবাবুর। সম্পত্তির লোভে আর একা থাকার সুযোগ নিয়ে ওইদিন গভীর রাতে পরিকল্পনা করে খুন করা হয় বিশ্বনাথবাবুকে। পুলিসের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত প্রেমিক। সে জানিয়েছে কাজলের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই ওইদিন রাতে প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় বিশ্বনাথবাবুকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত লাঠির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।