উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
আসানসোল পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকেশ্বরী কটন মিল পেরিয়ে দামোদরের পাশে সবুজে ঘেরা প্রকৃতি নজরে আসে। ওই এলাকাতে রয়েছে সূর্যনগর, ডিহিকায় পুরসভা ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাম্প হাউস। পুরো জায়গাটি জঙ্গলে ঘেরা। সেখানেই বংশবিস্তার করেছে ময়ূরের দল। সেই প্রকৃতিই যেন ধ্বংসের মুখে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার এলাকায় হানা দেয় বনদপ্তর। সেখানেই গাছ কাটার প্রমাণ পায় তারা। আসানসোলের রেঞ্জার তমালিকা চাঁদ বলেন, ইসিএল এলাকায় গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। দেখা যায়, বেশকিছু গাছ কাটা হয়েছে। যিনি এই কাজ করছিলেন তাঁর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে ফাইন করা হবে।
অভিযোগ, এলাকায় একাধিক জল প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও বালি মাফিয়ারা এখান থেকে বালি তোলে। গাছ কেটে বানিয়ে নেওয়া হয় নদীতে যাওয়ার রাস্তা। সুযোগ বুঝে নদীতে মেশিন নামিয়ে চলে বেপরোয়া বালি লুট। স্থানীয় ভালাডি গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় এক বালি কারবারির নাম করে বলেন, উনি বালি তোলার জন্য এই রাস্তা বানিয়েছেন। আমরা অনেক সময়ে স্নান করতে যাই এই রাস্তা দিয়ে। শুধু বালি তোলাই নয়, বিভিন্ন মাপ ও গুণমানের বালি তৈরির জন্য সেখানে গড়ে উঠেছে ক্র্যাশার। সেই বালি বহু দামে নানা জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। তার পিছনেই গড়ে উঠছে বোল্ডার ভাঙার ক্র্যাশার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্কোর পরিত্যক্ত বোল্ডারগুলি ভেঙে বিভিন্ন সাইজ করে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কারবারিকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, ট্রেড লাইসেন্স আছে। অন্য কোনও লাইসেন্স প্রয়োজন হলে করিয়ে নেব।
সূর্যনগর পাম্প হাউস মোড় থেকে ভালাডি যাওয়ার ভালো রাস্তা ছিল না। রেললাইনের পাশ দিয়ে রেলের জমিতে একটি কাঁচারাস্তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতেন। স্থানীয় কাউন্সিলার উদ্যোগ নিয়ে রেলের কাছ থেকে এনওসি নিয়ে সেখানে ঢালাই রাস্তা বানিয়েছেন। সেই ঢালাই রাস্তাই এখন বালি ও পাথর কারবারিদের সামগ্রী পরিবহণের মাধ্যম হয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলার রবিলাল টুডু বলেন, রেলের কাছ থেকে এনওসি নিয়ে ঢালাই রাস্তা করেছি এলাকার মানুষের জন্য। এই ক্র্যাশারগুলি থেকে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
( নির্বিচারে সবুজ নিধন। নিজস্ব চিত্র)