উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ডুমরা প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন রাখিদেবী। তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মিড ডে মিলের মান খারাপ হয় বলে অভিভাবকদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা ওই মিড ডে মিল খেতে চায় না। আগে রুটিন করে ডিম রান্না হতো। গত এক বছর মিড ডে মিলের পাত থেকে ডিম উধাও হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু, ওই প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে মিড ডে মিল সেকশনে মেসেজ পাঠাতেন। এভাবে পড়ুয়াদের খাবারের টাকা আত্মসাৎ করা হতো বলে অভিযোগ। ডুমরা প্রাইমারি স্কুলে মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৭৮। গত ৫ নভেম্বর স্কুলে উপস্থিত ছিল ৭৩ জন। কিন্তু এসএমএস পাঠানোর সময় সেটা বেড়ে হয় ১৬৮। একইভাবে গত ২১ অক্টোবর স্কুলে উপস্থিত পড়ুয়া সংখ্যা ছিল ৭৮। কিন্তু, মেসেজে জানানো হয় ১৬২। গত ২২ অক্টোবর মোট উপস্থিত ছিল ১২৮ জন। দেখানো হয় ১৬৫ জন। এভাবে প্রতিদিন স্কুলে পড়ুয়ার উপস্থিতির সংখ্যা বেশি বেশি দেখানো হতো বলে অভিযোগ। গত ৬ নভেম্বর পিএম পোষণ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট অফিসার সৌরভ মিত্র সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। অনিয়ম হাতেনাতে ধরেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়। তারপর থেকেই অভিভাবকরা তাঁর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ। গত ২০ নভেম্বর স্কুলে ভিলেজ এডুকেশন কমিটি, স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। ব্যাপক হট্টগোল হওয়ায় শেষমেশ বৈঠক ভেস্তে যায়। প্রধান শিক্ষিকাকে ওই স্কুলে আর কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা সাফ জানিয়েছেন। তমলুক গ্রামীণ চক্রের এসআই বলেন, ওই প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে ঢুকতে বাধা পাওয়ায় যেতে পারছেন না। এখন ছুটিতে আছেন। তাঁকে অন্য স্কুলে বদলির জন্য ডিআই এবং ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করা হবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।