সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের সর্ডিহা পঞ্চায়েতের পেঁচাপাড়া গৌরাঙ্গ ক্লাবের বাৎসরিক ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেল। এই ক্লাবের উদ্যোগে প্রতি বছর ১ ও ২ অগ্রহায়ণ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। জেলার সীমান্তবর্তী সর্ডিহা, চুবকা, মানিকপাড়া ও দুধকুণ্ডি-এই চারটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা খেলা দেখতে ভিড় করেন। ফুটবল খেলাকে ঘিরে সেখানে মোরগ লড়াইয়ের আসরও বসে। ১৯৭০ সালে এলাকার বাসিন্দা পঞ্চানন মাহাত, যতীন্দ্রনাথ মাহাত সহ বেশ কয়েকজনের উদ্যোগে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন ক্লাবে ৪০জন সদস্য রয়েছেন। ক্লাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এখানে প্রতি বছর দু’দিনব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে। এই ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি পেঁচাপাড়া, রাঙ্গুনিয়া ও কুমারী-এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক সহযোগিতায় এই ফুটবল খেলা হয়। এবারও ১ ও ২ অগ্রহায়ণ জমজমাট ফুটবল খেলা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গার ১৬টি ফুটবল টিম এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। মানিকপাড়ার সঞ্জয় স্পোর্টিং ফুটবল টিম সেরার শিরোপা পেয়েছে। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে বহড়াকোঠা ডাম্পি ১১ ফুটবল টিম। এবছর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাত।
পেঁচাপাড়া গৌরাঙ্গ ক্লাবের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় মাহাত বলেন, ক্লাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আমরা প্রতি বছর দু’দিনব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা সেই খেলা দেখতে ভিড় করেন। এবছরও ফুটবল প্রতিযোগিতায় এলাকার বাসিন্দাদের খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আমাদের গুরুজনদের চালু করা ফুটবল প্রতিযোগিতা আমরা এখনও টিকিয়ে রেখেছি।
মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান, এখন গ্রামগঞ্জেও যুবসমাজ খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়ে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেজন্য তাঁদের প্রতিযোগিতা তরুণ ও যুবদের ফের মাঠমুখী করতে সাহায্য করবে বলে তাঁরা মনে করছেন। পেঁচাপাড়া গৌরাঙ্গ ক্লাব আগামী দিনে বড় করে ও জাঁকজমকের সঙ্গে ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের চেষ্টায় রয়েছে। তিনটি গ্রামের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজনে সাহায্য করেন।-নিজস্ব চিত্র