আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অমৃত ভারত প্রকল্পে প্রায় ত্রিশ কোটি টাকায় সেজে উঠবে কালনা স্টেশন। যদিও কাজ খুবই ঢিমেতালে চলছে। শুক্রবার কালনা স্টেশন পরিদর্শনে আসেন হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার সহ এক প্রতিনিধি দল। বেলা সোওয়া দুটো নাগাদ কালনা স্টেশনে নামেন। প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কাজ সহ চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে নির্মীয়মাণ এলাকা ঘুরে দেখেন। প্ল্যাটফর্মে পানীয় জল কেমন তার খোঁজ নেন। এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া কয়েকটি বেআইনি দোকান দেখে কেন দোকান রয়েছে তা স্টেশন ম্যানেজারকে ডেকে জানতে চান। প্ল্যাটফর্মের বাইরের একটা অংশে প্রচুর আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখে ও লিজ নেওয়া সাইকেল ও মোটর সাইকেল গ্যারেজের বেআইনি পার্কিং দেখে ক্রুদ্ধ হন ডিআরএম। ভর্ৎসনা করেন স্টেশন ম্যানেজারকে। তিনি লিজ নেওয়া ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করতে বলেন। এমনও বলেন, যদি লিজ নেওয়া নির্দিষ্ট জায়গা ব্যতীত অনত্র গাড়ি পার্কিং করেন তবে, প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করার নির্দেশ দেন আধিকারিকদের। পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট নিয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে বলে জানান। প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি স্টেশন ম্যানেজারকে দেখার নির্দেশ দেন। অমৃত ভারত প্রকল্পে কাজ কবে শেষ হবে? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, কাজ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে কাজ চলবে। এবার কাজের গতি বাড়বে। বেআইনি উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে বেআইনি দখলদারদের সরে যেতে হবে। সকলকে নোটিস করা হবে। প্ল্যাটফর্মে উন্নয়নের কাজে খোড়াখুড়িতে যাতে যাত্রীদের আসা যাওয়ায় কোনও অসুবিধা না হয় ঠিকা সংস্থাকে তা দেখতে বলেন।
স্টেশন ম্যানেজার উত্তম বিশ্বাস অবশ্য তাকে ভর্ৎসনার বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এদিন ডিআরএম ও রেলের প্রতিনিধিদের পরিদর্শনে স্টেশন চত্বরে রেলের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে জীবিকা অর্জন করা দোকানদার ও বস্তিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নোটিস এলেই হারাতে হবে জীবিকা ও মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাঁরা চান রেল তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করুক।