আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের কুণ্ডলা, ময়ূরেশ্বর ও দাসপলশা অঞ্চল নেতৃত্বকে নিয়ে ফলাফল পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন বিজেপির ময়ূরেশ্বর-৩ মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় নন্দী। সেখানে বিজেপির প্রবীণ নেতা দুধকুমার মণ্ডল ও দাসপলশার বাসিন্দা দলের রাজ্য সহ সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। ওই অঞ্চলগুলির বেশকিছু বুথে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
কী কারণে এই ফলাফল তা নিয়েই আলোচনা চলছিল। সেখানেই অবৈধ বালির ঘাট মালিকদের সঙ্গে দলের নেতাদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অবৈধ বালি ঘাট চলায় নদীর পাড় নষ্ট হচ্ছে। এতে বর্ষায় বহু গ্রাম জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বালির গাড়ি আটকে কয়েকবার আন্দোলন করেন বিজেপি কর্মীরা। তাতে ছিলেন কয়েকজন নেতাও। অভিযোগ, আন্দোলনের পরই বালিঘাট মালিকদের সঙ্গে ‘সেটিং’ করে নিচ্ছে নেতাদের একাংশ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে দুধকুমারবাবু প্রশ্ন তোলেন, যদি টাকাই নেবে তাহলে অবৈধ বালিঘাটের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে নাটক করার কী দরকার? এরপরই নেতাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। টেবিল চাপড়ে একে-অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকেন।
এবিষয়ে দুধকুমারবাবু বলেন, বালির টাকা নিচ্ছেন জেলার কয়েকজন পদাধিকারী। বালির বিরুদ্ধে কর্মীদের নিয়ে আন্দোলনের পরেও কেউ কেউ টাকা নিয়ে ‘সেটিং’ করে ফেলছেন। বৈঠকে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে।
যদিও বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, লোকসভা নির্বাচনের চারমাস আগে থেকে জঙ্গলমহলের চারটি লোকসভার দায়িত্ব দিয়েছিল দল। ভোটে বীরভূমের কোনও কর্মসূচিতে আমাকে দেখা যায়নি। ফলে এবিষয়ে কিছুই জানি না। বালির টাকা দলগতভাবে কোনওদিন নেওয়া হয়নি। তবে একবার বিরোধী দলনেতার প্রোগামের জন্য কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছিলাম। তবে, বালির ঘাট মালিকদের সঙ্গে সেটিংয়ের অভিযোগ ঠিক নয়।
বিজেপির ময়ূরেশ্বর-৩ এর মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় নন্দী বলেন, আমরা সবসময় অবৈধ বালিঘাটের বিরুদ্ধে। তারপরেও বৈঠকে সিনিয়র কার্যকর্তারা কেন এমন অভিযোগ তুললেন, তা বলতে পারব না। আমি কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি, একথা জোর দিয়ে বলতে পারি।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে বীরভূম জেলার দুই আসনেই হেরেছে বিজেপি। তারজন্য এই জেলায় দলের কর্মী সমর্থকরা অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে নেতাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তি হওয়ায় বিজেপি নিচুতলার কর্মীদের দিশেহারা অবস্থা। তবুও তাদের একাংশ চাইছে, আসল ঘটনা সামনে আনা হোক। রোগ ধরা না পড়লে তা সারানো যাবে না।