জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, সাইবার-জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। জালিয়াতির পদ্ধতির অনেকটাই মিল রয়েছে ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে। ফোন করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে চটজলদি অনেক টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোক ঠকানোই কাজ ছিল ধৃতদের। বহু মানুষ এদের হাতে প্রতারিত হয়েছেন। তদন্ত দ্রুত শেষ করে ধৃতদের শাস্তি সুনিশ্চিত করব আমরা।
গত শনিবার হরিহরপাড়ার গজনীপুর এলাকা থেকে প্রথমে ডোমকলের পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হরিহরপাড়ার আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সকলেই এটিএম কার্ড নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করত বলে পুলিস জানতে পারে। তাদের কাছ থেকে প্রথমে ১৭টি এটিএম কার্ড, ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা এবং সাতটি মোবাইল উদ্ধার হয়। পুলিস হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আরও নয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বহরমপুর, হরিহরপাড়া ও নওদার যুবক রয়েছে। তবে বহরমপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকরা আসলে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পরে জানতে পেরেছে পুলিস। তারা সকলেই একত্রিতভাবে বিভিন্ন জেরক্সের দোকান থেকে সাধারণ মানুষের আধার কার্ডের কপি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত। তারপর সেই অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড নিয়ে প্রতারণা চালাত। পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্রের আরও শিকড়ে পৌঁছতে চাইছে।