নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: দীর্ঘদিন ধরেই প্রহর গুনছিল আমজনতা। অবশেষে ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলল বৃহস্পতিবার। কিন্তু স্বস্তির বৃষ্টিতেই এদিন বজ্রাঘাতে জেলায় তিন কৃষকের মৃত্যু হল। ছেলের সামনেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক কৃষকের। ঘটনায় বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে মৃতদের পরিবারে। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন, বেলদা, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়িতে বৃষ্টি নামে। ঘাটাল মহকুমার প্রায় সমস্ত ব্লকেই স্বস্তির বৃষ্টি হয়। গোয়ালতোড়ে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। গড়বেতা-১, গড়বেতা-৩, মেদিনীপুর, সবং, পিংলা, ডেবরার সমস্ত এলাকাতেই দু’এক পশলা বৃষ্টি হয় এদিন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গড়বেতার আমকোপা অঞ্চলের নেপুরা এলাকায় চাষের জমিতে কাজের সময় তারাপদ মাইতি(৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই ছিলেন। ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে দেখে ছুটে পালাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। 
এদিন চন্দ্রকোণায় বাজ পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম চঞ্চল দাস(৪৬)। চন্দ্রকোণা থানার ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিন্যা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বাড়ির পাশেই জমিতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাদাম তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। বাজ পড়ার পর মাঠেই পড়ে গিয়েছিলেন চঞ্চল। বেশ কিছুক্ষণ পর মাঠে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের লোকজন। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাচরাতেও বাজ পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম লক্ষ্মীরাম বেসরা(৫৫)। জানা গিয়েছে, এদিন মাঠে ধান বীজ ফেলতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীরাম ও তাঁর ছেলে কুমার বেসরা। আচমকা বাজ পড়ে লক্ষ্মীরামের উপর। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।