জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
অথচ, সেই স্কুলে জায়গার অভাবে পঠনপাঠনে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন শহরবাসী। স্কুল চত্বরেই চলে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মেদিনীপুর জিএফএসপি ও কলিজিয়েট প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিকের জন্য আলাদা করে কোনও ক্লাসরুম নেই। হাই স্কুলের তরফে দু’টি স্কুলকে ১০টি করে মোট ২০টি ক্লাসরুম দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সকালে প্রাথমিক স্কুল দু’টির ক্লাস হয়। অন্যদিকে, ওই একই শ্রেণিকক্ষে হাই স্কুলের ক্লাস হয় বেলায়। এতদিন ধরেই এভাবেই চলে আসছিল। তবে সমস্যা হয়েছে সম্প্রতি হাই স্কুলের মর্নিং সেশন চালু হওয়ায়। যে কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
কলিজিয়েট স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ তারিখ থেকে হাই স্কুলের মর্নিং সেশন চালু হয়েছে। একইসঙ্গে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও সকালেই ক্লাস চলছে। ক্লাসরুমের অভাবে প্রথমিক স্কুল দু’টিকে দু’টি বড় হল ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে হল ঘরেই। একই ঘরে পৃথক শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এই পরিস্থিতি এড়াতে জিএফএসপি স্কুলের তরফে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ক্লাস করানোর ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা সোম, বুধ ও শুক্রবার স্কুলে আসবে। অন্যদিকে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার স্কুলে আসতে হবে। ক্লাস হবে মেঝেতেই। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।
অন্যদিকে, কলিজিয়েট প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক রাজীব কর বলেন, যদি হও সুজন তেঁতুল পাতায় ন’জন। সমস্যা দেখতে গেলে সবই সমস্যা। তবে, এনিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের অনেকেই হাই স্কুলের অসহযোগিতার অভিযোগ করছেন। কলিজিয়েট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিমানী পড়িয়া বলেন, প্রাথমিকের দুই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। ওরা আমাদের এই অসুবিধার কথা জানাননি। দেখছি কিভাবে সমাধানকরা যায়।