জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এগরার দিক থেকে আসছিল মেদিনীপুর-দীঘা রুটের একটি বেসরকারি বাস। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাইকে ধাক্কা মারে। যদিও সেই সময় বাইকে কেউ ছিলেন না। এরপর ধীরে ধীরে ডান দিকে বাঁক নিয়ে রাস্তার ধারে ফুটপাতে ফলের দোকানের সামনের অংশে ঢুকে যায়। ফলের দোকানদার ও পাশে দাঁড়ানো ক্রেতারা আতঙ্কে ছুটে পালিয়ে যান। ফলের দোকান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনই বেশকিছু ফল নষ্টও হয়। পথচারীরাও আতঙ্কে দৌড়ে যে যেদিকে পারেন, ছুটে পালিয়ে যান। সকলেই আকস্মিক এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় পাশের দোকানগুলিও কমবেশি ক্ষতি হয়। তবে গোটা ঘটনায় কোনও পথচারী বা দোকানদার জখম হননি। বাসের ২০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। একটু ঝাঁকুনি খাওয়া ছাড়া যাত্রীদের কিছু হয়নি। সকলে বরাতজোরে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। ঘটনার জেরে ব্যস্ত রামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রামনগর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর পর দীঘার দিকে যাওয়ার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মিষ্টির দোকানের পাশে হঠাৎ করে বাঁক নিয়ে ঢুকে পড়ে ফল দোকানের মধ্যে। দুর্ঘটনার পর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন ট্রাফিক পুলিসের গাফিলতি সহ নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু করেন। এনিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা সামাল দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পুলিস বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, তীব্র গরমের কারণে বাস চালাতে চালাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হন চালক। সেই কারণে স্টিয়ারিংয়ে উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।
রামনগরের বাসিন্দা তথা রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার বলেন, এই দুর্ঘটনায় কারও কিছু হয়নি, এটাই রক্ষে। আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার আবেদন জানিয়েছি। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। রামনগর থানার ওসি উজ্জ্বল নস্কর বলেন, চালক অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তবে পুলিস সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। এই ঘটনার পর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।