জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
কাটোয়া কলেজের সাংস্কৃতিক বিভাগ ও জাতীয় সেবা প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে এদিন সৃজনশীল হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও মেলার সূচনা হয়। দু’দিন ধরে মেলা চলবে। মেলার সূচনা করেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার সহ বিশিষ্টরা। বিধায়ক বলেন, এখন থেকেই ছাত্রীদের স্বনির্ভরতার পাঠ দেওয়া অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।
কেউ মাটির নানা পাত্রের উপর রঙিন নকশা এঁকে বিক্রি করছেন। কেউ পাটের দড়ি দিয়ে নানা শোপিস তৈরি করেছেন। আবার কেউ হাতে তৈরি নানা আধুনিক গয়না তৈরি করে মেলায় স্টল দিয়েছেন। প্রত্যেকেই স্নাতকস্তরে পড়ছেন। কেউ এসব কাজের জন্য কোনও প্রশিক্ষণ নেননি। নিজেদের মতো করেই নানা উপকরণ বানিয়েছেন। অনেকে আবার ইউটিউব দেখে হাতের নানা সূক্ষ্ম কারুকাজ শিখেছেন। বাংলা অনার্সের চতুর্থ সেমেস্টারের ছাত্রী মহামায়া গোস্বামী, দিশা দেবনাথ, পর্ণা সাহা বলেন, আমরা পাটের নানা ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করেছি। প্রথম দিনেই ভালো বিক্রি হয়েছে। ইংরেজি অনার্সের ছাত্রী তিতলি প্রামাণিক, সুপ্রিয়া দেবনাথ বলেন, আমরা মাটির তৈরি নানা পাত্রের উপর নকশা এঁকে বিক্রি করছি। প্রথমবার এসব বানালাম। কলেজ থেকেই উৎসাহ পেলাম। ভবিষ্যতেও পড়াশুনার ফাঁকেই এসব সামগ্রী তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করব। তাতে নিজেদের হাত খরচ উঠে আসবে। দাঁইহাটের ছাত্রী ঋতিকা মণ্ডল বলেন, আমি ইউটিউবে দেখে এসব সামগ্রী তৈরি করেছি। উপকরণ কেনার জন্য কলেজ থেকেই খরচ পেয়েছি। এখন মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে।
বাংলার অধ্যাপক রাজেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রতিটি ছাত্রীর মধ্যেই সৃজনশীলতা লুকিয়ে আছে। আমরা তাদের উৎসাহ দিয়েছি। এরমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে অ্যাড অন কোর্স নামে ৩০দিনের একটা প্রশিক্ষণ দেব। সেখানে তারা এসব কাজের আরও ভালো প্রশিক্ষণ পাবে। যাতে কলেজ পাশ করেই তারা স্বনির্ভর হতে পারে। কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, ছাত্রীরা মাত্র এক মাসের মধ্যেই যেভাবে এতকিছু বানিয়েছে তা ভাবা যায় না। ছাত্রীদের সৃজনশীল কাজ নিয়ে আমরা আরও ভাবব। যাতে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারে সেই চেষ্টা করব।