আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এই শিল্পে পুরুষরা থাকলেও মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। মহিলা শিল্পীরা ১২ মাস বাড়িতে বা কারখানায় নিখুঁতভাবে সুন্দর সুন্দর রাখি তৈরি করেন। দক্ষ রাখি শিল্পীদের কথা মাথায় রেখে কালনা ও তার আশপাশে সরকারি ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে। বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকটি রাখি তৈরির কারখানাও এখানে গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় তৈরি রাখি মুম্বই, দিল্লি, আমেদাবাদ, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে, এমনকী বিদেশেও যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রাখি শিল্পীরা দাবি জানিয়ে আসছেন, তাঁরা পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান না।
২০১৬ সালে সরকারি সহায়তায় কালনার শ্যামগঞ্জপাড়ায় কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাধ্যমে রাখি তৈরির ক্লাস্টার গড়ে ওঠে। আধুনিক রাখি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শিল্পী গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। রাখি শিল্পীদের এক ছাতার তলায় এনে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও এর একটি উদ্দেশ্য। এখানে প্রশিক্ষিত হয়ে ক্লাস্টারে ও বাড়িতে বসে রাখি তৈরি করছেন প্রায় ৪০০ শিল্পী। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য যুবকল্যাণ দপ্তরের সরকারি রাখি এই সোসাইটির শিল্পীরাই তৈরি করে আসছেন। এবার এখনও সরকারি বরাত আসেনি। তবু নতুন ধরনের কিছু ডিজাইনের রাখি তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে সোসাইটি। সুতো, কাপড়ের ফুল, জরি, চুমকি দিয়ে তৈরি রাখি তো রয়েইছে। সেইসঙ্গে এবারও রঙিন পুঁতি ও স্টোন বসানো সুদৃশ্য রাখি তৈরি করা হচ্ছে।
রাখি কারখানার মালিকরা জানালেন, এখনকার দিনে শুধু রাখিবন্ধন নয়, বিভিন্ন উৎসবে রাখির ব্যবহার হয়। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাইকারি বিক্রেতারা রাখি কিনতে আসবেন। এক রাখি ব্যবসায়ী শঙ্কর মিত্র বলেন, আমাদের রাখি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেয়। তবে আগের তুলনায় ব্যবসা নিম্নমুখী।
রাখি শিল্পী দীপালি মুখোপাধ্যায় বলেন, সংসারের কাজ করে অবসর সময়ে রাখি তৈরি করি। যতটা দক্ষতা ও পরিশ্রম করা হয়, সেই তুলনায় মজুরি কম। মজুরি বৃদ্ধি হওয়া দরকার।
কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক তপন মোদক বলেন, আমাদের লক্ষ্য মহিলা ও পুরুষদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ করে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে আমরা ৫০০-র বেশি মহিলাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছি।