নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: চিকিৎসার গাফিলতিতে ফের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এই নিয়ে বুধবার রোগীর পরিবার জেলা হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পরিবারের দাবি, রোগীকে হাসপাতালে আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হয়নি। যার ফলে রোগীর মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, রোগী অসিত হালদারের বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জে। এদিন সকাল আটটা নাগাদ তিনি ঘাস মারা ওষুধ খান। তারপর পরিবারের লোকজন তাঁকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যখন রোগীকে আনা হয়েছিল তখন ইমার্জেন্সি বিভাগে কোনও ডাক্তার ছিল না। এমনকী অক্সিজেনের ব্যবস্থাও ছিল না বলে রোগীর পরিবারের দাবি। প্রায় ৩০ মিনিট রোগীর কোনও চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। তারপর পুরুষ বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৮টা ১৫ নাগাদ। সেখান থেকে সাড়ে ৮টা নাগাদ রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয়। তারপর কৃষ্ণগঞ্জ থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আসতে কম করেও হলেও ৩৫ মিনিট সময় লাগে। তারপর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ৯টা ১৫ নাগাদ ডাক্তার রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৯টা ২৩ নাগাদ তাঁকে ভর্তি করানো হয়। তারপর ৯টি ৪০ নাগাদ রোগীর মৃত্যু হয়। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকার বলেন, অভিযোগ হয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।
কৃষ্ণগঞ্জে গাছে তাল পাড়তে গিয়ে পড়ে মৃত্যু: গাছে তাল পাড়তে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার কৃষ্ণগঞ্জ থানার বানপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শিবশঙ্কর কর্মকার(৫০)। তাঁর বাড়ি বানপুরের বাগদি পাড়ায়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবশঙ্কর কর্মকারের বাড়িতে কামারশালা রয়েছে। কামারশালা চালানোর পাশাপাশি তিনি তাল কিনে ব্যবসাও করতেন। বুধবার সকালে শিবশঙ্কর তাল পাড়তে বানপুরে যান। সেখানে তাল গাছে উঠে আচমকা পড়ে যান। তাঁকে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুপুরে তিনি মারা যান।