গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রবিবার পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর সমর্থনে গেঙ্গাড়ায় নির্বাচনী সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিনই পুরুলিয়া শহরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো রয়েছে। একই দিনে হাইভোল্টেজ দুই প্রচার নিয়ে জেলার বাসিন্দাদের ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই নিজেদের কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে। তারমধ্যেই শুক্রবার কুড়মি সমাজের নেতার বক্তব্য ঘিরে জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে।
এদিন অজিতবাবু বলেন, কোনও লোকের প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয়ে যাওয়া উচিত নয়। উনি প্রধানমন্ত্রী বলেই কি যেতে হবে নাকি? কুড়মিদের জন্য কী করেছেন প্রধানমন্ত্রী? জঙ্গলমহল এলাকায় বিজেপির চারজন এমপি রয়েছেন, তাঁরা কেউ একদিনের জন্যও কুড়মিদের নিয়ে কোনও কথা বলেননি। তাঁদের দলেরই তো প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের এমপি করে আমাদের কী হবে? ওঁরা শুধুমাত্র আজ্ঞাবহ হয়েই থাকবে। আমাদের গোলাম বানাবে। ওরা এখানে লোকের ক্ষতি করবে, ভালো করতে পারবে না।
নির্দল প্রার্থী অজিতবাবু আরও বলেন, জনজাতি গোষ্ঠীর সবার জন্য আমি ভোটের ময়দানে নেমেছি। অভিজাত শ্রেণির কিছু মানুষ, যারা রাজনীতিটাকে কুক্ষিগত করতে চায়, সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। এই নির্বাচনেও প্রতিবাদ করছি। তাই বিজেপির নেতা বলছেন, আমি নাকি ভোট কাটতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের কি ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার নেই? শুধুমাত্র ওদেরই কি ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার আছে? ওরাই দেশের মালিক হবে, আর আমরা তাদের গোলাম হব? ওরা আমাদের পায়ের জুতো করে রাখতে চায়। বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কুড়মিদের নিয়ে খারাপ কথা বলেছিলেন, তাঁর ঘরে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছিলাম। নব জোয়ার কর্মসূচির সময় তৃণমূল নেতারা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়মিদের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তারও প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু, জেলার রাজনৈতিক নেতারা কোনও প্রতিবাদ করেননি। জঙ্গলমহলে স্বায়ত্তশাসন পরিষদের দাবি জানাচ্ছি। জঙ্গলমহলে কেউ যেন নিজের উপনিবেশ তৈরির চেষ্টা না করে।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, অজিতবাবুর আহ্বানে কিছুই হবে না। উনি যেমন খুশি বলতেই পারেন। কিন্তু, কুড়মি সমাজ আর বোকা নেই, যে তাদের যা খুশি বলে বোকা বানিয়ে রাখা যাবে। কুড়মি সমাজের বহু শিক্ষিত মানুষ দেশে-বিদেশে কাজ করছেন। জ্যোতির্ময় সিং মাহাত পার্লামেন্টে কুড়মিদের দাবির বিষয়ে সরব হয়েছেন একথা গোটা জেলাবাসী জানে। তাই মিথ্যা কথা বলে রাজনীতি করা যাবে না। অজিতবাবুর ওই আহ্বান সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে।