সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার সময় কান্দা রামচন্দ্রপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আজাহার হোসেন ওরফে হাসান মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাস্তা থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে চ্যাঙদোলা করে সাদা স্করপিও গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। ব্যবসায়ীর চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষজন পিছু ধাওয়া করেও গাড়িটি ধরতে পারেনি। এরপর গ্রামবাসীরা ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিস সর্বত্র সতর্কবার্তা পাঠায়। সেই মতো মুরারই ও পাইকর থানা এলাকায় শুরু হয় নাকা চেকিং। ঘটনাস্থল থেকে ২০কিলোমিটার দূরে পলশায় পুলিসি চেকিং দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে যায়। ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করা হয়। সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বেলডাঙা গ্রামে। তারা প্রত্যেকেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সুপারি নিয়ে তারা অপরাধমূলক কাজকর্ম করে বলে পুলিসের দাবি। পুলিস জানিয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা মতো ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে দুপুর থেকেই ওঁত পেতে বসেছিল দুষ্কৃতীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, ব্যবসার কারণে কয়েকমাস আগে বেলডাঙার বাসিন্দা দুই সুদের কারবারির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেন আজহার হোসেন। পুলিসের কাছে ওই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে তিনি সাড়ে আট লক্ষ টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। বাকি টাকাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুদের কারবারিরা ফোনে ১০ লক্ষ টাকাই পাওনা আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
পুলিস জানিয়েছে, যে গাড়িতে করে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা বীরভূমের রেজিস্ট্রেশন। জানা গিয়ে, গাড়িটি কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পুলিস ওই দুই সুদের কারবারি ও গাড়ির মালিককে ধরার জন্য বড়ঞা থানার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাইকর থানার পাতাগাছি গ্রামের বাসিন্দা দশম শ্রেণীর ছাত্র সালাউদ্দিন শেখকে অপহরণ করে মোটা টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা। পরে পাইকর থানার অদূরে একটি মাঠ থেকে ওই নাবালকের গলা কাটা অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় ফের অপহরণের ঘটনা ঘটায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।