বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ মে বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে সাইকেল ও মোবাইল নিয়ে বের হয় শুভ। তারপর থেকে তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুভর বাবা-মা বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। শুভর বাবা নির্মল মণ্ডল সেখানে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। আর মা সাগরিকা মণ্ডল বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। দিনকয়েক আগে তাঁরা মেমারির করন্দার বাড়িতে ফিরে আসেন। মামারবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত শুভ। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে শুভর হদিশ না পেয়ে তার ঠাকুমা কিশোরী মণ্ডল মেমারি থানায় ১৮ মে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিস। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও পুলিস এতদিন শুভর হদিশ পায়নি। ধৃতরা তাদের এক বন্ধুর কাছে শুভকে খুন করার কথা জানায়। সেই বন্ধু শুভর সহপাঠী। সে শুভর খুন হওয়ার বিষয়টি কয়েকজনকে বলে। বিষয়টি পুলিসের কানে পৌঁছতেই পুলিস দুই কিশোরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শুভকে খুনের কথা স্বীকার করে।
পুলিসকে ধৃতরা জানিয়েছে, অনলাইন মোবাইল গেমে শুভর কাছে তারা বারবার হেরে যেত। মোবাইল গেমে জিতে শুভ তাদের হেয় করত। এতে দু’জনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা শুভকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন তারা শুভকে বাড়ি থেকে ডেকে পালশিটে বাঁকা নদীর ধারে যায়। সেখানে গল্প করার সময় আচমকা গামছা দিয়ে শুভর মুখ বেঁধে দেয়। এরপর অপর একটি গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে খুন করে। এরপর দেহটি টানতে টানতে সেচখালের পাশে ঘাসের জঙ্গলে ফেলে আসে। দেহটি শেয়ালে খেয়ে নেবে বলে ভেবেছিল দুই কিশোর।
জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, ঠান্ডা মাথায় ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে। মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে বিরোধের জেরেই এই খুনের ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতরা খুব সহজভাবে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করেছে।