বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এদিকে রানাঘাট মহকুমায় সাতজন, কৃষ্ণনগর সদর মহকুমায় এক এবং তেহট্ট মহকুমায় ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। রানাঘাট-১ ব্লকের তারাপুর অঞ্চলের গাজিপুরের কাশীনাথপুর গ্রামের, রানাঘাট-২ ব্লকের দত্তপুলিয়া অঞ্চলের হুদা, গাংনাপুর, শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর, হাঁসখালির দেনালি-নতুনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেই যুবক। বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক। এছাড়াও হায়দরাবাদ, রাজস্থান থেকেও ফিরেছেন কয়েকজন। ২১মে এদের সোয়াব টেস্ট করা হয়। তেহট্ট-১ ব্লকের আক্রান্ত দু’জনও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। এছাড়াও তেহট্ট মহকুমায় আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নবদ্বীপের যুবকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে বুধবারই। এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। সিলও করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকা। ওই যুবক মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন। এদের অধিকাংশই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। যদিও হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম কতটা মানা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, পলাশীপাড়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালানো পরিযায়ী শ্রমিকের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এসব কাজে কেউ কোনওভাবে প্ররোচনা দেবেন না।
জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিক কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রীও। ফলে তাঁকেও সেখানে রাখা হয়। সেখান থেকে দু’দিন থাকার পরই পালিয়ে যান তাঁরা। স্ত্রী এবং সঙ্গে আর একজনকে নিয়ে গ্রামে চলে যান ওই যুবক। দেড় ঘণ্টা মতো বাইরে ছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে বাজারেও গিয়েছেন। পুলিসের দাবি, খবর পেয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু ওই যুবক নির্দেশ না মেনে চায়ের দোকান থেকে পাড়ার আড্ডায় ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিন পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তাঁকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স গেলে গ্রামের লোকজন বাধা দেন। ওই যুবক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে আসায় পুলিস তুলে নিয়ে গেলেও কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। পরে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসিন্দারা ওই এলাকায় নিজেরাই এরপর বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করেন। ওই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
নতুন করে ১৪ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫২। জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনও বেড়ে চব্বিশের বেশি হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই জোন আরও বাড়বে। এদিকে জেলায় এই মুহূর্তে ১৮ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে। তানিয়েও ব্যাপক আতঙ্ক শুরু হয়েছে।