বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
এব্যাপারে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ব্লক লেভেলে টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রতিদিন নিজের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন। যে কোনও প্রয়োজনে তাঁরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানা হলে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ব্যক্তিদের আর লালারস সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না। রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, তাঁদের ১৪দিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখতেই হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক অঞ্চলে দু’টি করে সেন্টার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তার সংখ্যা বাড়ানোও যেতে পারে। এরজন্য সেখানকার স্কুলভবনগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। পজিটিভ এলে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিধায়ক, বিডিও, ওসি, বিএমওএইচ, সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্যরা খতিয়ে দেখবেন।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক এলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে ভিনরাজ্য থেকে একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রামপুরহাট স্টেশনে আসেন কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। যার মধ্যে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বাসিন্দা রয়েছেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে এদিন পর্যন্ত ৩১টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রামপুরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়েছে। একটি দাঁড়িয়েছে আহমদপুর স্টেশনে। স্টেশনেই সকল যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়। এদের মধ্যে যাঁরা বীরভূমের বাসিন্দা তাঁদের সরকারি নতুন গাইডলাইন মেনে নন হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের বাসে করে ওই জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের খাওয়ার ব্যবস্থা হয় তাঁদের ঘর থেকে বা যাঁরা হোমলেশ রয়েছেন তাঁদের ব্যবস্থা করবে টাস্ক ফোর্স। এক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে খাবার সরবরাহের কথাও বলা এদিন হয়েছে।
জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় বহু জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এছাড়া ক্লাবগুলিও এই কাজে নামছে। শ্রমিকরা ফিরলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে চিহ্নিতকরণের জন্য আঙুলে ছাপও দেওয়া হবে।
বীরভূমের ওসি ইলেকশন বুদ্ধদেব পান বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির জন্য ডান হাতের তর্জনীতে থাকবে কালির ছাপ। এছাড়া নন হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য তর্জনী ও মধ্যমায় ছাপ থাকবে। জেলায় ঢোকার প্রবেশপথেই এই ছাপ দেওয়া হবে। চিহ্নিতকরণের জন্য নির্বাচন কমিশনই এই কাজে ছাড়পত্র দিয়েছে।