বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে দপ্তরের আধিকারিকদের সবকিছুই পর্যবেক্ষণে আছে। এই অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সত্যিই সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বেন। বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন আছি।
একটা সময় সবংয়ের নামের সঙ্গে ‘বন্যা’ শব্দটা জড়িয়ে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারের পর গত কয়েক বছর ধরে সবংয়ের মানুষ বন্যার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় ন’বছর সবংয়ে বন্যা হয়নি। কিন্তু, কালবৈশাখীর অতিবর্ষণের ফলে ফের সবংয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যেহারে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে নিচু এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। অনেক জায়গায় গ্রামীণ রাস্তাগুলির উপর দিয়ে জল বইছে। পাম্পের সাহায্যে নিচু এলাকা থেকে জল বের করতে হচ্ছে।
বিলকুয়া গ্রামের বাসিন্দা সত্যনারায়ণ জানা বলেন, জৈষ্ঠ মাসে এরকম বৃষ্টি এর আগে কোনওদিন দেখিনি। এরকম চললে বন্যা হবেই। মোহার দুবরাজপুরের বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল বলেন, নদী, খালের যা অবস্থা, বৃষ্টি বাড়লে বন্যা কেউ আটকাতে পারবে না। করোনার জন্য মানুষ চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে। তার উপর বন্যা হলে সর্বনাশের আর কিছু বাকি থাকবে না।
মানসবাবু বলেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, চণ্ডীয়া ও বাঘাই নদী সহ ১৬টি খাল এখন জলে টইটম্বুর। পুকুরগুলিও জলে ভরে গিয়েছে। আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। সেচদপ্তরকে বাঁধগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য অনুরোধ করেছি। জেলাশাসককেও পরিস্থিতির কথা জনিয়েছি। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দশগ্রাম, মোহাড়, বুড়াল দক্ষিণ, দুবরাজপুর, কোলন্দা, ভেমুয়া, রাউতাবাড়ি, বিলকুয়া, ক্ষেপাল, নওগা সহ পাশাপাশি বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনিতেই অত্যাধিক ঝড়-বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই অতিবৃষ্টি নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।
মন্ত্রী তথা পিংলার বিধায়ক সৌমেনবাবু বলেন, পিংলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চণ্ডীয়া নদীর জল বেড়েছে। কেলেঘাই, কপালেশ্বরীর নিম্নভাগও পিংলার কিছু এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি যদি হতেই থাকে, এই সব নদীর জলে পিংলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। জলচক, পিণ্ডরুই, গোবর্ধনপুর, ক্ষীরাই, রাগপুর, লক্ষ্মীবাড়ি, ধনেশ্বরপুর সহ পাশাপাশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চারদিকে জল জমে গিয়েছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় আমন ধানের বীজতলা ফেলতে পারেছেন না কৃষকরা। আকাশের যা অবস্থা, ফের বৃষ্টির সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শুভেন্দুবাবু ভিডিও কনফারেন্স করে দপ্তরের সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তাঁরা খুবই তৎপরতার সঙ্গে সবকিছু পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আমরাও যথাসময়ে আমাদের পরিস্থিতি ওঁদের জানিয়ে দেব।