বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওইদিনের ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরামবাগ মহকুমার তিনটি ব্লক, আরামবাগ ও পুরুলিয়া পুরসভা এলাকা। আরামবাগে ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টা ১৫০-১৬০কিলোমিটার। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের সরকারি কোয়ার্টারের লোহার গ্রিল। শুধুমাত্র আরামবাগ শহরে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ৩০টি বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপর্যয় পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এদিন বিকেলে আরামবাগের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।
আরামবাগের এসডিও নৃপেন্দ্র সিং বলেন, উম-পুনের তুলনায় ওইদিনের ঝড়ের ভয়াবহতা কয়েকগুণ বেশি ছিল। আরামবাগের হরিণখোলা এলাকায় গাছ পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরামবাগ পুরসভা, আরামবাগ, পুরশুড়া ও গোঘাট-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্বপন নন্দী বলেন, পুরসভার চারটি টিম ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা রাত থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ করছেন। এদিন দুপুরের দিকে শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে, ওইদিন ঝড়ের দাপট দেখা যায় পুরুলিয়া শহর ছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি থানা এলাকায়। বড় বড় গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে। বেশকিছু কাঁচা বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন কিছু বলতে চায়নি। জেলাশাসককে মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।
পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন শামিম দাদ খান বলেন, পুরসভার কর্মীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন। শহরের মূল রাস্তা থেকে গাছ সরানো হয়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে পানীয় জল পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন বিকেলের পর আরামবাগ ও পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ঝড়ের দাপট। সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। ঝড়ের সময় ছোট ছোট সন্তানকে নিয়ে নিজের কাঁচা বাড়িতেই ছিলেন আরামবাগের মহেশপুর গ্রামের গৃহবধূ ষষ্ঠী লোহার। তিনি বলেন, মুহূর্তের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ করে ঝড় শুরু হল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার উপরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। তারপরই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে পড়ে। সেই সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছি। তারপর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘরের চৌকির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এর আগে কখনও ঝড়ের এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখিনি।