বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
অন্যদিকে, বেসরকারি বাস মালিকরা এখনও এই জেলায় বাস নামানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে, জেলার সব রুটে সরকারি বাস নামলেও এখনই বেসরকারি বাস চলাচলের কোনও সম্ভাবনা নেই।
মেদিনীপুর ডিপো থেকে কলকাতা, ধর্মতলা, করুণময়ী, বারাসত, হাবড়া, দুর্গাপুর, বহরমপুর, ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন জেলায় সরকারি বাস চলাচল করে। জেলার মধ্যেও বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস চলে। এর আগে কোনও কোনও রুটে আধ ঘণ্টা অন্তর, আবার কোনও কোনও রুটে পনেরো মিনিট ছাড়া বাস চলাচল করত। করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন শুরু হওয়ায় মার্চ মাস থেকে সমস্ত রুটেই বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে দীঘা, কলকাতা এবং ঝাড়গ্রাম রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। এই তিনটি রুটে ছ’টি বাস চলাচল শুরু করেছে। সোমবার থেকে এক ধাক্কায় বাসের সংখ্যা ৫২টি বাড়ানো হচ্ছে।
সরকারি বাসে যাত্রীদের ওঠার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম জারি করা হয়েছে। বাসে ওঠার জন্য মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসে ওঠার আগে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। পরে, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে যাত্রীদের বাসে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেক যাত্রীর প্রশ্ন, বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় মাঝপথে বাস দাঁড় করিয়ে এতদিন বাসে যাত্রী তোলা হতো। এখনও কি সেরকম হবে?
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, বাসে ২৫ জন যাত্রী হলে কন্ডাক্টর জানিয়ে দেবেন, আর যাত্রী নেওয়া সম্ভব নয়। পরের বাসের জন্য ওই যাত্রীকে অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কারণ, সকলের ভালোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, পুরানো ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে আমাদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব নয়। কারণ, এই অবস্থায় বাস চালালে প্রতি ট্রিপে হাজার হাজার টাকা বাস মালিকদের লোকসান হবে। তাই কোনও বাস মালিকই এখন গাড়ি চালাতে রাজি নন। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করলে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারি।