পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফুলবাড়িতে সরস্বতী পুজোর মণ্ডপের পাশেই খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করা হয়। গুলির পরেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গত তিন দিন ধরে বিধায়কের দেহরক্ষী ছুটিতে ছিলেন। দেহরক্ষী ছুটিতে থাকার বিষয়টি বিধায়কের ঘনিষ্ঠরাই জানতেন। ফলে ঘনিষ্ঠদের কেউ এই খুনের পরিকল্পনায় যুক্ত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। তাছাড়া শনিবার দিন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছিল।
মিতা বিশ্বাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিন চার মিনিট অন্তর লোডশেডিং হচ্ছিল। অথচ অন্যান্য দিন এমন লোডশোডিং হয় না। বিধায়কের সামনের দিকে বসে আমি অনুষ্ঠান দেখছিলাম। আচমকা শুনি বাজি ফাটানোর মতো শব্দ। দেখি বিধায়ক চেয়ার থেকে পড়ে গেলেন, মাথা থেকে গল গলিয়ে রক্ত পড়ছে।
ঘটনার পর পালাতে দেখা যায় মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে। তবে তাকে কেউ গুলি করতে দেখেনি। ওই দিন রাতেই অকুস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই গুলি করা হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। যদিও একটি সূত্রের খবর, গুলি করার পর আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালাবে না আততায়ীরা। হয়তো ঘটনার মোড় ঘোরাতে অন্য একটি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে গিয়েছে তারা। আর যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে, তা তারা সঙ্গেই নিয়ে গিয়েছে। সন্দেহ, এই অপারেশনে চারজন নয়, সাত আট জনের একটি টিম ছিল। যারা আশেপাশেই ছিল। সমস্ত ঘটনা ওয়াচ করছিল। এমনটাও হতে পারে অভিজিৎকে তাড়া করার সময় তারাও তাড়া করতে করতে পালিয়েছে।
শনিবার রাতেই এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্য পুলিসের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) নীরজকুমার সিং। রাত একটা নাগাদ আসেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ বাস্তব বৈদ্য। এরপর ওই রাতেই সিআইডি-র আইজি অজয় কুমারের নেতৃত্বে একটি দল রবিবার ভোর রাতে এসে পৌঁছান ফুলবাড়ির মাঠে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সুপরিকল্পিত খুন এটি। এবং এই খুনের ঘটনায় সুপারি কিলার লাগানো হয়েছে। খুনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছে বাংলাদেশে। আর এই খুনের পিছনে বড় কারণ থাকতে পারে। সেই কারণটা কী, তার তদন্ত চালাচ্ছেন সিআইডি অফিসাররা। শনিবার রাতেই জেলা পুলিস থেকে এই ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডির হাতে।