পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ইলামবাজার ব্লকের বিডিও দেবদুলাল বিশ্বাস বলেন, ব্যবসায়ীদের যাবতীয় পরিষেবা সমেত তাঁদের কিষাণ মান্ডিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আশাকরি সেই উদ্যোগ সফল হলে রাস্তার উপর সব্জি ও মাছের বাজার বন্ধ হবে।
বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত ইলামবাজার ব্লকের তিনমাথা মোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ১৪নম্বর রাজ্য সড়ক ওই এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে। একদিকে বর্ধমান যাওয়া যায়। অন্যদিকে দুবরাজপুর হয়ে সিউড়ি যাওয়া যায়। সারাদিন ওই রাস্তার উপর দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এরকম একটি রাস্তার উপরেই বসছে সব্জি ও মাছের বাজার। একদিকে আনাজপাতির বাজার আর অন্যদিকে বসে মাছের বাজার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজার বসে। ওই বাজারে বহু মানুষ ভিড় জমানোর ফলে সারাদিনই রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে থাকে। বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষজনের বাইক, সাইকেল রাস্তার দু’ধারে পার্কিং করানো হয়। তারফলে যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা। বোলপুর থেকে দুবরাজপুর, বোলপুর থেকে জয়দেব, ইলামবাজার থেকে পানাগড় ইত্যাদি জায়গায় যাওয়ার বাসগুলি যানজটে থমকে যাচ্ছে। ভারী যানবাহন ও বাস সংকীর্ণ রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারকে দুর্ঘটনা রোধে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন। দুর্ঘটনার হার কমানোর জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। তারপরও কেন প্রশাসন ও পুলিস এনিয়ে উদাসীন সেটাই প্রশ্ন। ব্যবসায়ীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইলামবাজার ব্লকে একটি কিষাণ মাণ্ডি নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তা দখল করে বসা সব্জি ও মাছ বাজার সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের দাবি সেখানে ব্যবসা ঠিকমতো চলছে না। দূরত্বের ফলে সেখানে মানুষজন যেতে চাইছেন না। সেকারণে ব্যবসায়ীরা ফের রাস্তা দখল করে বসতে শুরু করেছেন। তবে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান চাইছেন স্থানীয়রা। তা নাহলে দু’বছর আগে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।