আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শুক্রবার মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, রায়গঞ্জ-বারসই রাস্তা তৈরি করা বেশ কিছুটা সময় সাপেক্ষ । তাই তার পরিবর্ত পথও খুঁজে রাখতে হবে। এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে জেতার পর আমার অন্যতম প্রধান কাজই হবে রায়গঞ্জ-বারসই সরকারি বাস পরিষেবা চালু করা, যা ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।
দূরপাল্লার ট্রেন ধরার জন্য রায়গঞ্জবাসীকে অধিকাংশ সময়ই বিহারের বারসই যেতে হয়। রায়গঞ্জ থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে টুঙ্গিদিঘি বলরামপুর হয়ে বারসই যেতে হয়। এজন্য অতিক্রম করতে হয় ৪০ কিমি রাস্তা। রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে নাগর নদী পার হয়ে বারসই যাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে রেল সেতু থাকলেও সড়কপথে যাওয়ার কোনও সেতু নেই। রায়গঞ্জ থেকে বাহিন ঘাটের দূরত্ব ৮ কিমি। নদীর ওপারে বিহারের নয়াটুলি থেকে বারসই স্টেশন পর্যন্ত দূরত্ব আরও ১৪ কিমি। অর্থাৎ নগর নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে রায়গঞ্জ-বারসই দূরত্ব ৪০ কিমি থেকে কমে ২২ কিমি হবে।
মোহিতবাবু আরও বলেন, শিলিগুড়ি, অসম সহ দূরদূরান্ত থেকে যাঁরা ট্রেনে রায়গঞ্জে আসেন তাঁদেরকে বারসই স্টেশনে নেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোকাল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দু’বার গাড়ি পাল্টে টুঙ্গিদিঘি যাতায়াত করতে হয় রায়গঞ্জবাসীকে। এই বাস পরিষেবা চালু অর্থের অপচয় বন্ধ হবে একই সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষও উপকৃত হবে।
তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী উপনির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমেই রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং বাহিনে নাগর নদীর উপর সেতু নির্মাণের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক যোগাযোগ নিয়ে যে উদ্যোগ আমি গ্রহণ করেছি তার ৯০ শতাংশ কাজ এগিয়ে গিয়েছে। অর্থদপ্তর থেকে অনুমোদনও চলে এসেছে। বিহার থেকে এনওসি এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।