আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিন খোকন সেনের মেয়ে দিয়া সেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আমার দাদা শিলিগুড়িতে চলে আসে। পরে আমি মাকে নিয়ে এসেছি। এনজেপিতে রেল কোয়ার্টারে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তাঁদের এইচসিসিইউ’র সামনে কাটছে। দিয়া বলেন, বাবাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। এদিন ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে বাবার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এখনই এখান থেকে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
খোকন সেন উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানাগছের বাসিন্দা। তিনি আরএমএস কর্মী। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তাঁর ডিউটি ছিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই সহকর্মী পার্থসারথি মণ্ডল ও শঙ্করমোহন দাস। শঙ্করমোহনবাবু দুর্ঘটনা স্থলেই মারা যান। পার্থসারথিবাবুর আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছে। এদিকে এখন মেডিক্যালে ভর্তি আছেন জামশেদপুরের শ্রীকান্ত পাত্র, মাটিগাড়ার খুশি সরকার, ঘোঘোমালির হাসিবুল গোপ, আদর্শনগরের বাসিন্দা অনিতা ঝা, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মনোজকুমার দাস, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার সুশীল মণ্ডল। এর মধ্যে মনোজকুমার দাস এবং সুশীল মণ্ডল ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
মেডিক্যালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, দুর্ঘটনার পর এখানে আসা জখম যাত্রীদের মধ্যে মনোজকুমার দাস, সুশীল মণ্ডল ও খোকন সেনকে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। খোকন সেনকে পরবর্তীতে এইচসিসিইউ’তে স্থানান্তরিত করা হয়। সকলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার পথে।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম রোগীদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মতো শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক ও মাটিগাড়া বিডিও’র অফিস সেই কাজ করছে। মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৭ জন রোগীকে আমরা ফেরানোর ব্যবস্থা করেছি। কেউ ট্রেনে কেউ বাসে গিয়েছেন। চাঁচলের ছ’বছরের শিশু স্নেহা মণ্ডলর মৃতদেহের সঙ্গে জখম ট্রেনযাত্রী তার মা ও বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। খরচের বিষয়টি মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে দেখা হচ্ছে।