সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নির্মলজোতে ট্রেন দুর্ঘটনায় সবকিছু ভুলে উদ্ধারকাজে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই যুবকদের বৃহস্পতিবার সংবর্ধনা জানাল তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা (সমতল) মাইনোরিটি সেল। সংগঠনের জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম তাঁদের হাতে এদিন স্মারক সম্মান, পুষ্পস্তবক তুলে দেন। এই সম্মান পেয়ে আপ্লত তাঁরা। তবে দুর্ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও রেলের তরফে তাঁদের কোনও খোঁজ না নেওয়ায় তাঁরা মর্মাহত। প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই একদল যুবক ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এদিন ফজলুর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। জখম ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। সেই সন্ধ্যায় তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলে উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ব্যাপারে আশ্বাসও দিয়ে যান। কিন্তু আমরা এসব কিছু পাওয়ার কথা ভেবে সেদিন উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়িনি। সেদিন ঈদ ছিল। ঈদের আনন্দ উৎসব ভুলে গিয়ে সারাদিন উদ্ধারকাজ চালিয়ে গিয়েছি। আমি ফোন করে পরিচিতদের গাড়ি এনে জখম যাত্রী, মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তার অনেক পরে রেলের তরফের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। এই উদ্ধারকাজে গাড়ি, ক্রেন সহ অন্যান্য সরঞ্জাম রেল লাইন পর্যন্ত আসায় আমাদের গ্রামের বহু কৃষিজমি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। জখম ও ট্রেনের অন্য যাত্রীদের বসিয়ে সাময়িক সুস্থ করার জন্য নিজেদের টাকায় চেয়ার ভাড়া করে এনেছিলাম। অনেক চোয়ার ভেঙেছে, হারিয়ে গিয়েছে। আমাদেরও অনেকের চোট আঘাত লেগেছে। এতকিছু করেও রেলের কোনও আধিকারিক এখনও পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। আমরা রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নই, তবে মর্মাহত।