জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকালে ইংলিশবাজার সহ মালদহের বিভিন্ন জায়গায় এক পশলা বৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের জন্য হলেও শেষ কবে এভাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে, জেলাবাসী ভুলতে বসেছিলেন। ফলে এদিন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। বৃষ্টির পর দুপুরে রোদ উঠলেও দাবদাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বিকেলের পর থেকে আবহাওয়া বেশ মনোরম ছিল। বর্ষার জেরে এরপর থেকে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মালদহে ২২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় জেলার তাপমাত্রায় বেশকিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। গত কয়েকদিন মালদহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এদিন তা কমে ৩৩.৮ ডিগ্রি হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মালদহ আবহাওয়া কেন্দ্রের আবহবিদ তপনকুমার দাস বলেন, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই মালদহে বর্ষা ঢুকে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো আমরা ঘোষণাও করে দিয়েছিলাম। কিন্তু গত ৩১ মে থেকে বর্ষা ইসলামপুরে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই কারণে উত্তরের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়। অথচ মালদহ ও দুই দিনাজপুরে হয়নি। এদিন দুই দিনাজপুর ও মালদহের অধিকাংশ জায়গায় বর্ষা ঢুকেছে। দু-একদিনের মধ্যে তা আরও দক্ষিণে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের দিকে অগ্রসর হবে।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, আগামী চারদিন রায়গঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশের ঘোরাফেরা করছে। দহন জ্বালা থেকে মুক্তি পেলেও এদিন ভ্যাপসা গরম ছিল।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু অংশে এর আগে বর্ষা ঢুকেছিল। এদিন তা গোটা জেলায় পৌঁছে যায়। এখনও পর্যন্ত ওই জেলায় ২৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২৩ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের মাঝিয়ান কেন্দ্রের আবহবিদ সুমন সূত্রধর। বৃষ্টির জেরে জেলার পুনর্ভবা, আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বেড়েছে। সব্জি চাষে সামান্য ক্ষতি হলেও ধান ও পাটচাষের পক্ষে এই বৃষ্টি সহায়ক হবে বলে কৃষি দপ্তর জানিয়েছেন। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।