সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
বৃহত্তর শিলিগুড়ি সিটি অটো অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, আমরা পুরনো সিটি অটো বন্ধ করার পক্ষে। কিন্তু নতুন গাড়ি কেনার জন্য ব্যাঙ্কঋণ মিলছে না। বিএস ফোর মডেলের গাড়ি বাজারে নেই। তাই বিএস সিক্স মডেলের গাড়ি নিতে হলে অতিরিক্ত এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে। তাই আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমরা চাই প্রশাসন ব্যাঙ্কঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ে মেলার আয়োজন করুক। উপায় না থাকায় ৩০ শতাংশ মালিক গাড়ি পরিবর্তন করতে পেরেছে।
দার্জিলিংয়ের সহকারী আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (শিলিগুড়ি) নবীন অধিকারী বলেন, ১ জানুয়ারির মধ্যে পুরনো সিটি অটো বদলে ফেলতে সরকারিভাবে নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু রাস্তায় ৭০ শতাংশই পুরনো গাড়ি চলছে। আমরা অভিযান চলাচ্ছি। সোমবারই কিছু গাড়ি ধরা হয়েছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিস কমিশনার ডম্বর সিং সোনার বলেন, মোটরযান দপ্তর সহযোগিতা চাইলে আমরা সাহায্য করছি। আমরাও চাই শহরে লজঝড়ে সিটি অটো চলাচল বন্ধ হোক।
কলকাতার পরেই শিলিগুড়ি রাজ্যের অন্যতম বড় শহর। এই শহরের গুরুত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যাতায়াতের সুবিধা ২০০৩ সালে পরিবহণ দপ্তর তিন চাকার ছ’আসনের অটো নামায়। যাতায়াতের এটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলেও যতই সময় গড়িয়েছে এসব অটো থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়া শহরের বায়ুকে দূষিত করেছে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৩-২০০৬ এই চার বছর ১২৫৭টি সিটি অটোকে অনুমতি দেওয়া হয়। শহরে ১৭০০’র মতো সিটি অটো চলত। এই গাড়িগুলির বয়স ১৫ বছর হওয়ার পরেও তা শহরে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দূষণ ছড়ানো ওসব অটো থেকে শহরবাসীকে নিস্তার দিতে বছরখানেক ধরে অটো চালক, মালিক সংগঠনের সঙ্গে প্রশাসন বৈঠক করে চার চাকার সিটি ক্যাব নামানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে তিন চাকার সিটি অটোর পরিবর্তে চার চাকার গাড়ি নামানোর কথা মালিকপক্ষ মেনেও নেয়। এরপরেও প্রায় এক মাস হতে চলল ওসব অটো দাপিয়ে চলছে।
অটো মালিকদের দাবি, পুরনো অটোর বদলে নতুন চার চাকার গাড়ি নিতে তারা আগ্রহী কিন্তু নতুন গাড়ি নিতে কমপেক্ষ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। অটো মালিকদের দাবি, সরকার প্রথমদিকে জানিয়েছিল, ব্যাঙ্কঋণ দিতে সহযোগিতা করবে কিন্তু এখন কোনওরকম সহযোগিতা করছে না। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৫০টি পুরনো সিটি অটো বদলে নতুন গাড়ি নামানো হয়েছে। যা শহরের রাস্তায় চলা মোট সিটি অটোর ৩০ শতাংশেরও কম।