সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এই মুহূর্তে আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে দেশের একমাত্র বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র। একটি জাপানি সংস্থার সহযোগিতায় এই কাজটি রূপায়নের দায়িত্বে রয়েছে এনএইচএসআরসিএল (ন্যাশনাল হাইস্পিড রেলওয়ে কর্পোরেশন)। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। যার আনুমানিক প্রকল্প খরচ এক লক্ষ কোটি টাকার কিছু বেশি। ৫০৮ কিলোমিটার লম্বা দেশের এই প্রথম হাইস্পিড রেল করিডর যাচ্ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং দাদরা-নগর হাভেলির মধ্যে দিয়ে। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের পর এই রুটে বুলেট ট্রেন ছুটবে ঘণ্টায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে। রেল সূত্রের খবর, ঠিক এরকমই আরও ছ’টি অংশে বুলেট ট্রেন প্রকল্প চালু করতে চাইছে মন্ত্রক।
গত সপ্তাহে দাভোসে যে বাণিজ্যিক বৈঠক হয়েছে, সেখানে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদবও হাজির হয়েছিলেন। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দাভোসের বৈঠকের ফাঁকেই সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান একটি মিটিং করেন। সেখানেই তিনি নির্দিষ্ট করে দেশের আরও ছ’টি সেকশনে হাইস্পিড রেল করিডর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। আমেদাবাদ-মুম্বইয়ের মতোই এক্ষেত্রেও কোনও বিদেশি সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতাতেই এগুলি রূপায়নের পরিকল্পনা করা হবে। বাংলার উল্লিখিত তিনটি রুট ছাড়া দেশের আরও যে তিনটি রুট রেলের নজরে রয়েছে, সেগুলি হল দিল্লি-মুম্বই, চেন্নাই-মুম্বই এবং দিল্লি-চেন্নাই। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, কোনওটিই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। যাবতীয় পরিকল্পনাও একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবুও বর্তমানের চালু প্রকল্পের কাজ সময়ে শেষ করে দ্রুত এই বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রেল। যাতে অন্তত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করে ফেলা যায়।