সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
নিজেদের কর্মজীবনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই সমাবর্তনে সম্মান জানানোর তালিকায় ছিলেন বিজ্ঞানী জয়ন্ত বিষ্ণু নারলিকর, অধ্যাপিকা বীণা দাস, পার্থ মজুমদারের মতো বিশিষ্টরা। তাঁদের মধ্যে নারলিকরকে আশুতোষ মুখার্জি মেমোরিয়াল পদক দেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে যথাক্রমে সুধীন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তী মেমোরিয়াল এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেরই আগে চলছিল তুমুল হই-হট্টগোল। সামনের সারিতে বসে পড়ুয়াদের কাণ্ডকারখানা দেখে রীতিমতো হতবাক তাঁরা। সেসব নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করতেও ছাড়েননি এই সব শিক্ষাবিদ অধ্যাপক। ইংরেজির অধ্যাপক চিন্ময় গুহ বলেন, পড়ুয়াদের এমন বিক্ষোভ দেখানোটা সমর্থনযোগ্য নয়। তাঁর মতে, সমাবর্তনের অনুষ্ঠান প্রতিবাদ দেখানোর জায়গা নয়। আরেক শিক্ষাবিদ সমীর ব্রহ্মচারী বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমরা ১৯৬৮ থেকে ’৭১ পর্যন্ত অনেক আন্দোলন করেছি। এদিন বিক্ষোভের কারণ নিয়ে কিছু বলব না। তবে সমাবর্তনের মঞ্চকে তার জন্য ব্যবহার করাটা কাম্য নয়। এভাবে প্রতিবাদ দেখানোটা কোনওভাবেই সৌজন্যের মধ্যে পড়ে না। পার্থ মজুমদার নামে অন্য এক শিক্ষাবিদের কথায়, এই ছাত্ররাও একদিন ডিগ্রি পাবেন। তাঁরাও পিএইচডি নিতে আসবেন। তখন যদি এমন হয়, সেটা কি ভালো হবে? ছাত্রছাত্রীদের সমালোচনার মধ্যেও কয়েকজন অবশ্য পড়ুয়াদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। সেই অংশের মতে, সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের মতো ইস্যু তো প্রতিবাদযোগ্য। পড়ুয়ারা কোনও ভুল করেননি বলেই মনে করেন শিক্ষাবিদদের ওই অংশ। শিক্ষাবিদ বীণা দাস বলেন, এই আন্দোলনের বৈধতা রয়েছে। দেশে যেভাবে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে পড়ুয়াদের এমন আন্দোলনের যুক্তি রয়েছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভে যদি আচার্য চলে যান, তাতেই ভালো। তবে যেভাবে উপাচার্য গোটা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।
রাজ্যপাল চলে গিয়েছেন, এই খবর উপাচার্য ঘোষণা করতেই হলের একটা অংশ থেকে হাততালি শোনা যায়। কিন্তু যেসব প্রার্থী পিএইচডি ডিগ্রি পাবেন, সেই অংশ থেকে কিন্তু প্রতিবাদ শোনা যায়। কয়েকজন প্রার্থী এবং কিছু অভিভাবক মঞ্চের কাছে এগিয়ে যান। কী করে ছাত্রছাত্রীরা এমন একটা বিক্ষোভ করতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। রাজ্যপাল ছাড়া সমাবর্তন হতে পারে না বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন। প্রশাসন কীভাবে এমনটা হতে দিলেন, প্রশ্ন সুদীপ নারায়ণ ঘোষ নামে এক অতিথির। ছাত্রছাত্রীদের এই ব্যবহার কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মত তাঁর। আবার অয়ন চট্টোপাধ্যায় নামে এক পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপকের প্রশ্ন, প্রশাসন কীভাবে এই ছাত্রদের ভিতরে ঢুকতে দিল? একটা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠান হবে, সেই আশায় এসেছিলাম। এসব দেখতে আসিনি।