সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
বাবু মহলদার (শ্রমিক), ব্যারাক কলোনি, ২২ নম্বর ওয়ার্ড: আমি এই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। ওয়ার্ডে ভালো কাজ হয়েছে। পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। কাউন্সিলার আমাদের খোঁজখবর নেন। তাঁর কাছে কোনও অসুবিধা নিয়ে গেলে সমাধান করে দেন। সারাবছর যেভাবে চলেছে, এই রকম আগামী দিনেও আজ হোক, এটাই দাবি। আমাদের আপদে বিপদে কাউন্সিলার আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালেই আমরা সন্তুষ্ট। শহরের আরও উন্নয়ন হোক, নাগরিক হিসাবে এই কামনা করি।
সুশান্ত সাহা (ব্যবসায়ী), কলোনি সংলগ্ন এলাকা, ২২ নম্বর ওয়ার্ড: এলাকায় ভালো কাজ হয়েছে। উন্নয়ন একেবারেই থমকে নেই। এই ওয়ার্ডের ভিতরের সব রাস্তায় আরও পথবাতির প্রয়োজন রয়েছে। আলো নেই বলে কয়েকটি গলি অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। রাতে চলতে সমস্যা হচ্ছে। পরবর্তী বোর্ড আগামী দিনে ওই কাজ মন দিলে অনেকেই উপকৃত হবেন। আমাদের কাউন্সিলার আমাদের কথা শোনেন।
নিখিল মণ্ডল (চাকুরিজীবী), মহানন্দাপল্লি, ২২ নম্বর ওয়ার্ড: এলাকায় কিছু কিছু কাজ হয়েছে। সেসব হিসেব করলে মোটামুটি উন্নয়ন হয়েছে বলা চলে। এই মহানন্দাপল্লি এলাকায় এখনও অনেক রাস্তা মাটির রয়েছে। এখনও পাকা করা হয়নি। শহর এলাকায় এরকম দেখতে ভালো লাগে না। পরবর্তীতে এই রাস্তার কাজগুলি করা হোক। তাহলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। ওয়ার্ডের উন্নয়নের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
অলোক ঝাঁ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী), সুভাষপল্লি, ২২ নম্বর ওয়ার্ড: সুভাষপল্লি নাম উচ্চারণ করলেই যে সমস্যাটির কথা সর্বপ্রথম উঠে আসবে, সেটা হল নিকাশি ব্যবস্থা। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেও এখানকার রাস্তায় জল জমে অনেক দিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই শীতের সময়েও এই এলাকায় জল জমে রয়েছে। এই নিয়ে মানুষের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। আমরা পুরসভার কাজের প্রতি একেবারেই খুশি হতে পারছি না। পুরসভা নির্বাচন আসে, আবার চলেও যায়। তবে ওয়ার্ডের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয় না।
রূপশ্রী দাস(গৃহবধূ), কুলদীপ মিশ্র কলোনি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের পাড়ায় উন্নয়ন হয়নি, এমনটা বলা যাবে না। ভালো কাজ হয়েছে। এছাড়াও পরিষেবা নিয়েও কোনও সমস্যা এখনও পর্যন্ত হচ্ছে না। আগামী দিনে এলাকায় আরও উন্নয়নের অব্যশই প্রয়োজন রয়েছে। আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আরও ভিতর দিকে রাস্তাগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হয়।
দিলীপ সরকার (ব্যবসা), মিশ্র কলোনি সংলগ্ন এলাকা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড: এলাকায় টুকটাক কাজ হয়েছে। পরিবর্তনের আমলে আরও উন্নয়ন হলে খুশি হতাম।আগামী পুরবোর্ডের কাছে ঢালাও উন্নয়নের আশা রাখি। যেন আমাদের কোনও সমস্যা না হয়। এলাকায় কয়েকটি বসার শেড করে দিলে ভালো হয়। তাহলে বিকেলের দিকে বয়স্ক মানুষরা ওখানে বসে গল্পগুজব করে সময় কাটাতে পারবেন। ওয়ার্ডের সৌন্দর্যায়ন চাই।
রমেন সরকার (পড়ুয়া), হালদারপাড়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড: এলাকায় রাস্তাঘাট ভালো রয়েছে,পানীয় জল এবং ড্রেনের কোনও সমস্যা নেই। কাউন্সিলারকে ডাকলে কাছে পাওয়া যায়। সমস্যা হলে তিনি অভিভাবকের মতোই পাশে দাঁড়ান। খুব ভালো লাগে। সবার সঙ্গেই জনসংযোগ ভালো রাখার চেষ্টা করেন। এর জন্য বছরভর ভালো পরিষেবা পেয়েছি। পরবর্তীতে এই রকম কাজের ধারা বজায় রাখলেই হবে।
গোপাল চৌধুরী (ব্যবসা), রিজেন্ট পার্ক, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড: আমাদের পাড়ায় কোনও কাজই আর বাকি নেই। সিংহভাগ দাবি পূরণ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা ভালো রয়েছে, এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেন রয়েছে। বড় কোনও সমস্যা এখনও পর্যন্ত নেই। সুষ্ঠু পরিষেবা পাচ্ছি। তবে ড্রেনগুলির উপরে অনেক জায়গায় ফাঁকা হয়ে রয়েছে। ওগুলির উপর স্ল্যাব বসিয়ে দিলে আরও ভালো হবে।
সরস্বতী সাহা (চপ বিক্রেতা), বুড়াবুড়িতলা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড: উন্নয়ন ভালো হয়েছে। কাউন্সিলারকে নিয়ে আমরা খুশি। যে কোনও বিপদ হলে তাঁকে আমরা পাশে পাই। এছাড়াও দেখেছি, কোনও দুঃস্থ ব্যক্তি অসুবিধায় পড়লে তাঁর দ্বারস্থ হলে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করেন। পরিষেবাও ভালো। জনপ্রতিনিধিদের কাছে সব সময় এই ব্যবহার পাওয়ার আশা রাখি।