সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বইমেলার মঞ্চ থেকে মমতার লেখা ১৩টি বই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ৬টি বই বাংলায় লেখা, ৬টি ইংরেজিতে এবং উর্দুতে লেখা একটি বই (হিম্মত)। এদিনের বইগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা মোট বইয়ের সংখ্যা একশো ছাড়াল (১০১)। ১৩টি বইয়ের মধ্যে একটি কবিতার। ‘কবিতা বিতানে’ মোট ৯৪৬টি কবিতা আছে। জল সঙ্কট নিয়ে ইংরেজিতে লেখা একটি বই (ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়াটার) প্রকাশিত হয়েছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন ভাষণ সঙ্কলন করে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে ‘সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান’ পুরষ্কার দেওয়া হয়। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নৃসিংহপ্রসাদবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিশেষ সরকারি অনুদান পেয়ে তিনি পুরাণের উপর এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা শুরু করেন। দুই খণ্ডে তা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আরও দুই বা তিন খণ্ড প্রকাশিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী এরপর ভাষণ দিতে গিয়ে উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডকে বইমেলার বিবর্তনের ইতিহাস রচনার কাজ নৃসিংপ্রসাদবাবুকে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য এটা খুব দরকার। যতই ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া আসুক না কেন, লেখার মধ্যে দিয়ে যে আনন্দ মেলে— তা কোথায় পাওয়া যায় না। বইমেলায় এসে প্রয়াত কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিল্পীর স্মৃতি রোমন্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে এলে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বক্তব্য রাখেন। বইমেলা পরিচালনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহযোগিতার কথা তাঁরা দুজনেই উল্লেখ করেন। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টেপাধ্যায়, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বইমেলা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এদিন পর্যন্ত অনেক স্টল সাজানো ও শেষ সময়ের কাজ চলছে। এবার বইমেলায় স্টলের সংখ্যা প্রায় ৬০০।