সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়ায় পুরসভা পরিচালিত আর্বান পাবলিক হেলথ সেন্টারে (ইউপিএইচসি) যাওয়ার সময়ে পাড়ার কিছু স্কুল পড়ুয়া চাঁদা আদায়ের জন্য বিদ্যুতের খুঁটির একদিকে বাঁধা দাড়ি আচমকাই তুলে ধরে। সেখানে বালি মজুত করা ছিল। ওই মোটর বাইক চালক দড়ি দেখে ব্রেক কষতেই বালিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তাঁর গায়ের উপর বাইক পড়ে যায়। ম্যাস্টিক রাস্তায় পড়ে গিয়ে ওই যুবক হাতে, হাঁটুতে চোট পান। তাঁর পায়ে গভীর ক্ষত হয়। যদিও ঘটনার পর ওই ছেলেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও ওই পড়ুয়ারা কার বাড়ির সন্তান সেনিয়ে সকলেই মুখে কুলুপ আঁটেন। স্থানীয়রাই জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরেও সেখানেই একজনের স্কুটারের চাকা দড়িতে ফেঁসে যাওয়ায় পড়ে গিয়েছিলেন। শহরের রানাবস্তি, জ্যোতিনগর, পরেশনগর, শ্রবণনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে দড়ি বেঁধে রাস্তা আটকে সরস্বতী পুজোর চাঁদা আদায় করতে দেখা গিয়েছে। এসব ঘটনায় শিশুরা যেমন আহত হতে পারে, তেমনি বাইক, স্কুটার চালকেরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে সকলেই আশঙ্কা করেছেন।
শিলিগুড়ি শহরের এক সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া দরকার। তবেই এসব বিপদ এড়ানো সম্ভব। যদিও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ কোনও ক্ষেত্রেই হয়নি। তবে ১০০ নম্বরে ফোন করায় কয়েক জায়গায় পুলিস ভ্যান যায়। পুলিস কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে আসেন।
এদিকে সরস্বতী পুজার আয়োজনে কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি উত্তরের সর্বত্র গৃহস্থের গলদঘর্ম অবস্থা হয়। ফলমূল, আনাজপাতি, প্রতিমার আকাশছোঁয়া দামে হাত পুড়ছে গৃহস্থের। পলাশ ফুলের কয়েকটি কুঁড়ি সহ ডাঁটি চড়া দামে বিক্রি হয়। ছাঁচের প্রতিমা ১০০ টাকা থেকে অন্যদিকে সাবেকি ছোট প্রতিমা ৩৫০ টাকা থেকে বিক্রি হয়। আলিপুরদুয়ারে ৫ ফুট সমান প্রতিমা বিক্রি হয় ১০০০ টাকায়। কেচবিহারে অর্ডার দেওয়া প্রতিমা বিক্রি হয় ৪০০০-৫০০০ টাকায়। কোচবিহারে পলাশ ফুলের কুঁড়ি বিক্রি হয় ২০ টাকায়। নারকেল কুলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১০০ টাকা। এছাড়া খাগের কলম ও দোয়াত ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে। প্রতি কেজি কেশর আলু ৩০ টাকায়, আঙুর ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বিভিন্ন বাজারে কমলার ডজন ছিল ১৬০-১৮০ টাকা, আপেল ১২০-১৫০ কেজি।