সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
যদিও চন্দননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতের শোকে তার বাবা পেশায় ব্যবসায়ী সজল পাল শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। এদিন তিনিই দরজা ভেঙে ছেলেকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আমি কিছু ভাবতেই পারছি না। পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই শিশুটির মৃত্যু খুবই শোকাবহ ঘটনা। একটি বাচ্চা কোন অভিমান থেকে এমনটা করতে পারে ভাবতেও পারছি না।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাঁপানতলার বাসিন্দা সজলবাবু এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে ১২ বছরের সম্রাটই বড়। স্থানীয় একটি স্কুলে সম্রাট পড়াশোনা করত। কিন্তু, স্বভাবচঞ্চল ছেলেটির ‘দুষ্টুমি’ বাগে আনতে না পেরে সম্প্রতি তাকে বারাকপুরের একটি আবাসিক স্কুলে পরিবার ভর্তি করে দেয়। সেখানে সে থাকলেও বাড়ির জন্যে মন খারাপের কথা বলত বলেই পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে। দিন কয়েক স্কুলের ছুটির কারণে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্র বাড়ি ফেরে। মঙ্গলবারও তাকে বাবার দোকানে খোশমেজাজে বসে থাকতে অনেকেই দেখেছেন। বাড়িতে এসে সে সরস্বতী পুজো নিয়ে মাতোয়ারা হয়েছিল। পুজো নিয়ে নানান পরিকল্পনার কথাও সে দিনেরাতে বলছিল।
বুধবার সকালেও সে পুজো নিয়েই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিল। এরপর সে স্নান করতে যায়। কিন্তু, দীর্ঘ সময় শৌচাগার থেকে বের না হওয়ায় বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে। তাতেও সাড়া না মেলায় সম্রাটের বাবা শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলেন। তখনই দেখা যায় শৌচাগারের গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলছে সম্রাট। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, দেহে প্রাণ আছে, এই আশায় সজলবাবু সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কোলে তুলে ধরেন। তারপরেই চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীদের অনেকেই ওই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও বড় অংশের দাবি, বাড়ির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি ওই নাবালক মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে ছোটভাই বাড়িতে থাকবে, আর তাকে হস্টেলে থাকতে হবে, এটাই কোনওভাবে প্রতিক্রিয়া করেছিল। বাড়িতে আসার পরে সেই অনুভূতি আরও প্রবল হওয়াতেই হয়ত অভিমানে মৃত্যুর পথ বেছেছে সে।